চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্ত্রীসহ অবস্থান করছেন- এমন সন্দেহে চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরের একটি ফ্ল্যাট বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। পরে কাদেরকে না পেয়ে তার স্ত্রীর বড় ভাই নুরুল হুদা বাবুকে (৭০) থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে হালিশহর থানা এলাকার আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের এ আর টাওয়ারে এই অভিযান চালায় পুলিশ। ওই সময় নুরুল হুদাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হলেও রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি ফজলুল কাদের এক গণমাধ্যমকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীর বড় ভাই নুরুল হুদার ফ্লাটে অভিযান চালানো হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই নুরুল হুদাকে থানায় আনা হয়েছিল। ওবায়দুল কাদের সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে কোনো মামলা না থাকায় পরিবারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, নুরুল হুদা দাবি করেছেন ৫ তারিখের পর থেকে ওবায়দুল কাদেরকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। কাদেরের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই।
এদিকে নুরুল হুদাকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তিনি ভগ্নিপতি কাদেরের নাম ব্যবহার করে নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে লাপাত্তা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তাকে গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালালেও গ্রেপ্তার করা যায়নি তাকে।
প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে লাপাত্তা ওবায়দুল কাদের। তাকে গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালালেও গ্রেপ্তার করা যায়নি তাকে।
এ ছাড়া শেখ হাসিনার পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতা। গাঢাকা দিয়েছেন মাঝারি ও তৃণমূল পর্যায়ের অনেক প্রভাবশালী নেতাও। মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয়ে প্রকাশ্যে আসছেন না দলটির কোনো নেতা-কর্মী। এর মধ্যে দলীয় বিভিন্ন পদে থাকা অনেককে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।