নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাত্র জনতার আন্দোলনে দীর্ঘ ১৬ বছর শাসন করা আওয়ামী সরকারের পতনের পর এবার মুক্ত পরিবেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন জামায়াত-বিএনপি’র নেতাকর্মীরা। তাইতো ঈদকে ঘিরে চট্টগ্রামে জামায়াত-বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গণে বইছে আনন্দের বন্যা।
দীর্ঘ সময়ের রাজনৈতিক অস্থিরতা, স্বৈরাচার সরকারের দমন-পীড়নে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। সময়-অসময়ে ধরে বন্দি করা হতো চার দেয়ালের কুঠোরিতে। অনেকের বছরের পর বছর ঈদ কেটেছে পরিজন পরিবার ছাড়া কারাগারের চার দেয়ালের মধ্যে।
তবে এবার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্বস্তিতে ঈদ পালন করছেন দীর্ঘদিন নির্যাতনের শিকার ও কারাবন্দি থাকা জামায়াত-বিএনপি’র নেতাকর্মীরা। ফলে আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া জানানোর পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ২৪ এর জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সফল কাণ্ডারিদের কাছে। আর এই আন্দোলন সফল করতে যারা অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
এ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা জানিয়েছেন, এবারের ঈদে তারা নিজেদের নির্বাচনী এলাকায় ফিরে যাবেন এবং স্থানীয় জনগণের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন। ঢাকায় যারা ঈদ উদযাপন করবেন, তাদের অনেকেই নামাজ শেষে নিজ এলাকায় ফিরে যাবেন।
মুক্ত পরিবেশে ঈদ পালন নিয়ে চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির দপ্তর সম্পাদক শওকত আজম খাজা বলেন, ‘এবার আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ পালন করবো। পাশাপাশি বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের নির্যাতন ও নিপীড়নের কথা জনগণের কাছে পৌঁছে দেব।’
তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ে আমাদের অনেক নেতাকর্মী পরিবারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। ঈদ মানে আনন্দ- এবার আমরা সকলেই ঈদের এই আনন্দ পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করে নিব।
গত ১৬ বছর ধরে আমরা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম উল্লেখ করে নগর যুব দলের আহবায়ক কমিটির সদস্য শমসের বলেন- আমরা বিশ্বাস করি, শেখ হাসিনামুক্ত বাংলাদেশে আমাদের ঈদ উদযাপন হবে বাঁধাহীন এবং আনন্দময়।
চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন বলেন, আমরা একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। ১৬ বছর পর মুক্ত পরিবেশে ঈদ উদযাপন যা আমদের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
বিস্তারিত দেখুন সিপ্লাসে…………………………
চাটগাঁ নিউজ/এইচএস/জেএইচ