নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার মাদক উদ্ধারের একটি মামলায় দুই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত তাদেরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ডাদেশ দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কর্ণফুলী থানার বড় উঠান ইউনিয়নের মৃত সুলতান আহমদের ছেলে আজম উদ্দিন চৌধুরী (২৬) ও একই ইউনিয়নের আব্দুল নুরের ছেলে সৈয়দ নূর প্রকাশ রুবেল হোসেন (৩০)।
আজ বুধবার (১০ জুলাই) চট্টগ্রামের ১ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদারের আদালত এই রায় দেন।
রায়ের বিষয়টি চাটগাঁ নিউজকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এম এ ফয়েজ। তিনি বলেন, ২০১৮ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৩৬(১)১০( গ) অভিযোগ গঠন করা হয়। চার্জসীটের ১৩ সাক্ষীর মধ্যে ৬ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদাব করেন। রাষ্ট্র পক্ষে ৬ জন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করে। আদালত উক্ত ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে আসামীদের কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাস কারাদণ্ডাদেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদেরকে সাজামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজকে শুধু মাদক মামলার রায় হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারের মামলটি অন্য আদালতে রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে র্যাবের একটি দল কর্ণফুলী থানার বড় উঠান বাড়ি শাহ মীরপুর এলাকার উজির খান চৌধুরীর বাড়ির একটি টিনশেডের গুদাম ঘরের থেকে দুজনকে গ্রেফতারের পাশাপাশি গুদামঘরের মাটি খুঁড়ে দুই লাখ ৪ হাজার ৯০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ওই গুদামেই এক জায়গায় পানির নিচে পলিথিনে বিশেষ কায়দায় রাখা দুটি ওয়ান শুটার গান ও চার রাউন্ড কার্তুজ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পরদিন ১৮ সেপ্টেম্বর র্যাব বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় মাদক ও আস্ত্র উদ্ধারের পৃথক দুটি মামলায় দায়ের করেন।
এর মধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ২০২৩ সালের ১২ জুলাই আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। চার্জশিটে থাকা ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান দেন। এ মামলায় গতকাল (মঙ্গলবার) রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে/এসআইএস