চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ১২০ জন। এরমধ্যে ২৮ জন প্রার্থী ভোটের মাঠে নেই। আর ৪০ জন প্রার্থী ভোটে থেকেও নেই। অর্থাৎ ৬৮ জন প্রার্থী ভোটে থাকলেও মাঠে নিষ্ক্রিয়। প্রচার-প্রচারণায় ভোটে সরব রয়েছেন অন্তত ৩৭ জন প্রার্থী। অন্যদের কালেভদ্রে মাঠে দেখা গেছে।
নির্বাচন কমিশনের তালিকায় চট্টগ্রামের ১৬ আসনে প্রার্থী আছেন ১২০ জন। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটের মাঠে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা। চালাচ্ছেন প্রচারণা ও গণসংযোগ। কিন্তু বেশিরভাগ আসনেই আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে স্বতন্ত্রের আড়ালে আওয়ামী লীগই। দুটি আসনে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
ভোটের মাঠে ধর্মভিত্তিক ইসলামী দল ও কিংসপার্টি খ্যাত দলগুলোর প্রার্থী বেশি রয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রামভিত্তিক তরিকতপন্থী ইসলামী দলগুলো এবার সবকটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। কিন্তু ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগ ও শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চাপে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন কিংসপার্টির প্রার্থীরা। অনেক দলের প্রার্থীদের এখন মাঠে দেখা যাচ্ছে না।
চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে চার আসনে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী দলীয় প্রার্থী রয়েছে। তিন মন্ত্রী ও সংসদীয় কমিটির এক সভাপতির আসনে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম-৯ (বাকলিয়া-কোতোয়ালী) আসনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও ৬ (রাউজান) আসনে এ বি এম ফজলে করিম নির্ভার রয়েছেন।
বিএনএফ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ চট্টগ্রাম-৮ ও ঢাকার দুটি আসন থেকে নির্বাচন করছেন। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তিনি। চট্টগ্রাম-৮ আসনে কিছু পোস্টার দেখা গেলেও প্রচার-প্রচারণায় তেমন সরব ছিলেন না তিনি।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির প্রার্থী মুহাম্মদ সোলাইমান কাসেমী বলেন, ‘নিয়মিত জনগণের কাছে গিয়েছি। আমার যোগ্যতা দেখে ভোটাররা সাড়া দিয়েছেন। তারা আমাকে ভোট দেবে।’
ইসলামী ফ্রন্ট প্রার্থী মুহাম্মদ আলী হোসাইন বলেন, ‘জনগণ যে আশা করছে, তার কোন নিশ্চয়তা নেই। যদি মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে তাহলে আমি নিশ্চিত জনগণ আমাকে ভোট দেবে।’
কথা হয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একাধিক প্রার্থী, প্রার্থীর এজেন্ট ও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে। তারা বলেন, ১৬ আসনে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অনেকেই নিজেদের পছন্দের স্বতন্ত্র বা অন্য দলের ব্যানারে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন। কেউ কেউ নিকটাত্মীয় বা সহকর্মীদের দাঁড় করিয়েছেন। নির্বাচনী মাঠে এসব প্রার্থীদের কোনো অবস্থান নেই। এমনকি নির্বাচনী এলাকায় অনেকের পোস্টারও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পোস্টার-ব্যানার দেখা গেলেও অনেকেই মূল প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাচ্ছেন। প্রচারণা চালাচ্ছেন।
চাটগাঁ নিউজ/এমআর