চট্টগ্রামে ব্যাংকের লকার থেকে দেড়শ ভরি সোনা উধাও!

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার ইসলামী ব্যাংকের এক শাখার লকার থেকে ১৪৯ ভরি সোনা উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইসলামী ব্যাংকের ওই শাখায় এসব স্বর্ণ রাখেন নগরীর চট্টেশ্বরী রোডের বিটিআই বেভারলী হিলসের বাসিন্দা রোকেয়া বারী। গত বুধবার (২৯ মে) লকারে স্বর্ণ দেখতে গেলে উধাও হওয়ার বিষয়টি প্রথম জানতে পারেন তিনি।

উধাও হওয়া এসব সোনার বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী এক কোটি ৭৪ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭৩ টাকা। সোনাগুলো ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই সরিয়ে ফেলেছেন দাবি সোনার মালিকের।

জানা গেছে, সোনার মালিক রোকেয়া বারী বুধবার (২৯ মে) ব্যাংকে গেলে সোনা চুরির বিষয়টি বুঝতে পারেন। এরপর তিনি চকবাজার থানায় জিডি করতে গেলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। যদিও এখন পর্যন্ত জিডি নেয়নি চকবাজার থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সোমবার (৩ জুন) চট্টগ্রাম আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভুক্তভোগী।

চুরি হওয়া ১৪৯ ভরি সোনার মধ্যে রয়েছে- ৪০ পিস হাতের চুরি (বড় সাইজ), যার ওজন ৬০ ভরি। গলা ও কানের চারটি জড়োয়া সেট, যার ওজন ২৫ ভরি। ১০ ভরি ওজনের একটি গলার সেট। ২৮ ভরি ওজনের সাতটি গলার চেইন। ১৫ ভরি ওজনের চারটি আংটি এবং ৩০ জোড়া কানের দুল, যার ওজন ১১ ভরি।

এ বিষয়ে রোকেয়া বারী বলেন, গত ১৬-১৭ বছর ধরে চকবাজারের ইসলামী ব্যাংকের একটি লকার ব্যবহার করি। পাশাপাশি আমার নামে একটি অ্যাকাউন্টও রয়েছে। কিন্তু গত বুধবার দুপুর দেড়টায় আমি কিছু সোনা লকার থেকে আনতে যাই। এ সময় লকারের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে লকার খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানাই। তিনি তার চাবি দিয়ে লকার রুমে দরজা খোলার পর আমার লকারটি খোলা পাই। পরে বিষয়টি দ্রুত চকবাজার থানার ওসিকে জানাই। তিনি দ্রুতই ঘটনাস্থলে আসেন, দেখতে পান- আমার লকারে মাত্র ১০-১১ ভরি সোনা অবশিষ্ট রয়েছে। আমার ধারণা- ব্যাংকের লোকজনই এ ঘটনায় জড়িত।

রোকেয়া বারীর ছেলে রিয়াদ মোহাম্মদ মারজুক বলেন, এ ঘটনায় চকবাজার থানায় জিডি করতে যাই। কিন্তু ওসি সাহেব বলেছেন- জিডি হবে না, মামলা করতে হবে। তাই সোমবার চট্টগ্রাম আদালতে আমরা মামলা করবো। সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে ব্যাংকটির চকবাজার শাখার ম্যানেজার শফিকুল মওলাকে ফোন করা হলেও কিছুই বলতে রাজি হননি তিনি।

চকবাজার থানার ওসি ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, ভুক্তভোগী থানায় জিডি করতে চেয়েছিলেন। আমরা মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। এরপর তিনি আর যোগাযোগ করেননি।

সম্প্রতি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট শাখা থেকে গ্রাহকের এক কোটি ২০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হন ক্যাশিয়ার সুজন রহমান ও তার পরিবার। বুধবার (২৮ মে) এ ঘটনায় ব্যাংকের ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে মামলা করেন চাঁপাপুর ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট শাখার স্বত্বাধিকারী নুরুল ইসলাম।

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top