চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রামে ২ চিকিৎসককে মেরে আহত করার ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে নিজস্ব চেম্বারে প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, বেসরকারি হাসপাতাল গুলোর সামনে ঝুলছে ব্যানার। তাতে লেখা আছে- সকল প্রকার সেবা থেকে বিরত থাকবেন চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল আ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) চিকিৎসকরা।
এছাড়া রোগীরা কোনো ধরনের টেস্টও করাতে পারছেন না ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে। ফলে দীর্ঘ অপেক্ষার পর সেবা না নিয়ে ফিরে জাচ্ছেন রোগীরা।
এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেন চিকিৎসকরা।
বিএমএ’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ (২৩ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে কাল (২৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা পর্যন্ত নিজস্ব চেম্বারে কোন ধরনের রোগী না দেখার জন্য নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী বলেন, ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হলে আজকের পর আমরা আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা করবো। যদি এর মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ হয়ে যায় তাহলে কর্মসূচি প্রত্যাহার করবো কিনা সিদ্ধান্ত নিবো।
রাঙামাটি থেকে শহরে চিকিৎসা নিতে আসা আমেনা বেগম বলেন, ডাক্তারের কাছে এসেছি অনেক দূর থেকে। এখন ডাক্তার নেই। আবার ফিরে যেতে হবে।
এ বিষয়ে এপিক হাসাপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন, নতুন করে কোন পরীক্ষা বা রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছেনা। তবে আগে ভর্তি হওয়া রোগীদের দেখছেন ডাক্তাররা।
প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল পটিয়া উপজেলার পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রক্তিম দাশকে হাসপাতালেই পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। আহত এক রোগীকে চিকিৎসা দিতে দেরি হওয়ার তাকে পেটান আহত রোগীর স্বজনরা। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অন্যদিকে পহেলা বৈশাখের দিন (১৪ এপ্রিল) নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগে এনে হামলার শিকার হন হাসপাতালটির দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রিয়াজ উদ্দিন শিবলু। বর্তমানে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে সংকটাপন্ন অবস্থায় আছেন তিনি।
চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন