চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বেতার কেন্দ্রের উপ-আঞ্চলিক পরিচালক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদ অপুকে অবরুদ্ধ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, গত বছরের ৪ আগস্ট অপুর স্বাক্ষরিত চিঠিতে কারফিউ জারি হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে নগরীর আগ্রাবাদে বাংলাদেশ বেতার ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত বছরের ৪ আগস্ট অপুর স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে কারফিউ জারি করা হয়েছিল, যা তাদের আন্দোলন দমনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে দুপুর আড়াইটার দিকে হেফাজতে নেয়। ডবলমুরিং থানার ওসি কাজী রফিকুল ইসলাম জানান, অপু একজন সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় বিষয়টি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।
এর আগে, চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অপুর বিরুদ্ধে ৫৮ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, তিনি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বদলি, নিয়োগ ও অস্ত্রের লাইসেন্স বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন। অবৈধ আয়ের অর্থে বাড়ি, গাড়ি, প্লট, ফ্ল্যাট এমনকি ব্যাংককের পাতায়ায় রেস্টুরেন্ট দিয়েছেন তিনি। রাজধানীর বসুন্ধরা, উত্তরা ও গুলশানে বেশ কয়েকটি দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান করেছেন। নিজের ও স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে রয়েছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা।
মো. শরীফ মাহমুদ অপু কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ণমতি গ্রামের ইঞ্জিনিয়ার জয়নাল আবেদিনের ছেলে। তাঁর বাবা কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উপ আঞ্চলিক পরিচালক মো. শরীফ মাহমুদ অপু বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছু লোকজন আমার অফিসে এসে আমাকে ফ্যাসিবাদের দোসর বলছে। আমি সরকারি চাকরি করি, সিদ্ধান্ত সরকার দেবে। তারা দাবি করছে, আমি কারফিউর ঘোষণা দিয়েছিলাম আন্দোলনের সময়ে।’
পুলিশ জানায়, অপুর বিরুদ্ধে থাকা মামলার বিষয়ে দুদকের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ