নিজস্ব প্রতিবেদক: বন্দর নগরী চট্টগ্রাম এবার দেখলো অন্যরকম ঈদ জামাত। যে ঈদ জামাতে গত ১৬ বছর ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসতো আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, এবার তাদের ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো চট্টগ্রামের প্রধান ঈদ জামাতগুলো।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের শহর-গ্রাম সব জায়গায় এবার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ছাড়াই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যায়ের আওয়ামী নেতাকর্মীরা ঘরছাড়া। আবার অনেকে বিভিন্ন মামলার আসামি হয়ে রয়েছেন কারাগারে। কেউ কেউ পলাতক।
পক্ষান্তরে এবার ঈদ জামাতের প্রথম কাতারে দেখা গেছে, বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ যারা গত ১৬ বছর ধরে এক প্রকার জুলুম নির্যাতন সহ্য করেও ঈদ জামাতে আসতেন। আওয়ামী নেতৃত্ববৃন্দের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নামাজ আদায় করতেন। করতেন কোলাকুলি ও কুশলাদি বিনিময়। তবে পরস্পরের সৌহার্দ্যটুকু কেবল ঈদ জামাত পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকতো।
চট্টগ্রাম নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ্ ঈদগাঁহতে এবার দেখা গেছে ব্যাতিক্রম। এদিন অনুষ্ঠিত হওয়া সকাল আটটার প্রথম ঈদ জামাতের প্রথম কাতার পরিপূর্ণ ছিল বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী দ্বারা। ছিলেন জামায়াতসহ জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। দেখা যায়নি কেবল আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের নেতা।
এসময় ঈদ জামাতের প্রথম কাতারে দেখা যায় সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, মীর নাছির উদ্দীন, বর্তমান মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপি নেতা আবুল হাশেম বক্কর, আবু সুফিয়ান, সাইদ আল নোমান, নগর জামায়াতের আমীর শাহজাহান চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির সোলাইমান আলম শেঠকে।
যেখানে অন্যান্যবার বিএনপি-জামায়াতের এসব শীর্ষস্থানীয় নেতার সাথে উপস্থিত থাকতেন আওয়ামী লীগের মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আ জ ম নাছির উদ্দীন, হাছান মাহমুদ, রেজাউল করিম চৌধুরী, মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীসহ আওয়ামী ঘরানার প্রায় সব স্তরের নেতাকর্মীরা।
বিষয়টি জানতে চাইলে অবশ্য বিএনপি বা জামায়াতের কেউ এটি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
এদিকে জামিয়াতুল ফালাহ্ জাতীয় ঈদগাঁহতে প্রথম জামাতে ইমামতি করেন জমিয়তুল ফালাহ্ জাতীয় মসজিদের খতিব হযরতুল আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী।
নামাজ শেষে গতানুগতিক ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি/জেএইচ/এসএ