নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম বন্দর থানার এক এএসআই’র বিরুদ্ধে যৌতুক না পেয়ে নির্যাতন অভিযোগে মামলা করেছে ভুক্তভোগী পুলিশ কনেষ্টেবল স্ত্রী। অভিযুক্ত এএসআই’র নাম মো. আবু নাঈম (৩৯)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউরা উপজেলার জয়নগর এলাকার মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।
আজ মঙ্গলবার (৪ জুন) চট্টগ্রাম তৃতীয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম রুমানা আক্তারের আদালতে স্ত্রী শিরীন আক্তার (৩৪) এ মামলা দায়ের করা হয়। তিনি সিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (বায়োজিদ জোন) কনষ্টেবল হিসেবে কর্মরত।
আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামীর বিরুদ্ধে সমন জারী করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শিরিন আক্তার ও তার স্বামী উভয়ই পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত। স্বামী বর্তমানে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানায় এএসআই হিসেবে কর্মরত আছে। তাদের ৬ বছরের একটি প্রতিবন্ধী শিশু সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর ২০১১ সালে হতে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় তিন লাখ টাকা যৌতুক আদায় করে। পরবর্তীতে আবু নাঈম তার স্ত্রীকে না জানিয়ে গোপনে পাখি বেগম নামে অপর এক মহিলাকে বিয়ে করে।
মামলার বাদী বিবাদী উভয়েই পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত হওয়ায় প্রাথমিকভাবে পুলিশ ডিপার্টমেন্টে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে গ্রামের বাড়ীর স্থানীয় ব্যাক্তিদের মাধ্যমে আপোষ করা হয়। ফলে পুলিশ ডিপার্টমেন্টে অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নেন শিরিন আক্তার।
অভিযোগ প্রত্যাহারের পর স্বামী আবু নাঈম আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন। তখন নারী, মদ ও জুয়ার পেছনে টাকা উড়িয়ে উৎশৃংখল জীবন যাপনে লিপ্ত থাকে। পরবর্তীতে জুয়া খেলায় তিন লাখ টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে যায়। ঋণের টাকা পরিশোধ করার জন্য স্ত্রীর নিকট ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় স্ত্রী শিরিন আক্তারকে মারধর করে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট অজয় ধর বলেন,‘আজ যৌতুকের অভিযোগ এনে এক নারী পুলিশ কনস্টেবল তার পুলিশ কর্মকর্তা স্বামীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দিয়েছেন।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে পতেঙ্গা থানার এএসআই মো. আবু নাঈম বলেন,‘আমরা পারিবারিকভাবে বসে বিষয়টি সমাধান করেছি।এমনেই একটু রাগারাগি হয়েছিলো।’
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজীজ বলেন,`সিআর মামলার ক্ষেত্রে সাধারণত আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। তবে এর পূর্বে বা পরে আদালত থেকে যদি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় সেক্ষেত্রে গ্রেপ্তার হলে বা বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সাসপেণ্ড করবেন এবং বিভাগীয় মামলা হতে পারে।’
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে/এসআইএস