চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম নগরীতে জশনে জুলুসের র্যালিতে পদদলিত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আহত একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া মুরাদপুরে নালার ওপর নির্মিত স্টিলের ছোট ব্রীজ ভেঙ্গে আহত প্রায় ১৩ জন চমেকে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।
আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মুরাদপুর এলাকায় এসব মর্মান্তিক দুর্ঘটনাগুলো ঘটে। নিহত দুজন হলেন সাইফুল আলম ও মো. আইয়ুব। তাদের মধ্যে একজনের বাড়ি নগরীর কালামিয়া বাজারে, আর একজন পটিয়া উপজেলায়। আর আইসিইউতে থাকা ওই ব্যক্তির নাম মো. মাহফুজ (৩৫)। তিনি নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার মৃত শামসুলের ছেলে।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আরও একজন আইসিইউতে ভর্তি আছেন।
জরুরি বিভাগে ১৩ জন ভর্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ৭ জন ভর্তি রয়েছেন। বাকিটা আমি এখনো জানি না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাজারো মানুষের উপস্থিতি এবং ভিড়ের চাপ সামলাতে না পেরে মুরাদপুরে স্টিলের ব্রীজের একটি অংশ ভেঙে যায়। হুড়োহুড়ির মধ্যে অনেকেই নিচে নালায় পড়ে আহত হন। স্থানীয়রা ও স্বেচ্ছাসেবীরা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান। এ ঘটনায় একজন নিহত হন।
পুলিশ জানায়, জুলুসে প্রচণ্ড ভিড়ে গরম সহ্য করতে না পেরে আইয়ুব আলী নিচে পড়ে যান। এছাড়া একটি লোহার ব্রীজ ভেঙ্গে পড়ে যান আরো বেশ কয়েকজন।
এসময় পদদলিত হয়ে মারাত্মক আহত হন সাইফুল এবং আরও দু’জন। হতাহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, জুলুস উপলক্ষ্যে শনিবার সকাল থেকে লাখো মানুষ নগরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুরাদপুর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে সমবেত হন। সকাল ৯টায় আলমগীর খানকাহ থেকে শুরু হওয়া এই শোভাযাত্রা নগরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। লাখো মানুষের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ জুলুসে নেতৃত্ব দেন আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ (মা.জি.আ)।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন– শাহজাদা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ্ (মা.জি.আ) ও সৈয়্যদ মুহাম্মদ মেহমুদ আহমদ শাহ্ (মা.জি.আ)। বৃহস্পতিবার থেকেই তারা চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ