চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : ছোট-বড় দুর্ঘটনার পর আহতদের দ্রুত চিকিৎসা দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চট্টগ্রামে নির্মাণ করেছিল ট্রমা সেন্টার। কিন্তু জনবল ও যন্ত্রপাতির অভাবে চালু করা যায়নি এসব প্রতিষ্ঠান। তবে এবার জনগণের সেবার জন্য দুটি ট্রমা সেন্টার দ্রুত খুলে দিতে চান সিভিল সার্জন।
সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মধ্যবর্তী এলাকায় আহতদের নিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয়। এ অবস্থায় লোহাগাড়ায় মহাসড়কের পাশে ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ট্রমা সেন্টার। লোহাগাড়া ট্রমা সেন্টার এলাকা থেকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অথবা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে সময় লাগে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা। ২০১৩ সালে এটি উদ্বোধন করার পর ১১ বছর পেরিয়ে গেছে।
এদিকে, হাটহাজারী উপজেলা সদরের কাচারি সড়কে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ট্রমা সেন্টার। এটি উদ্বোধন করা হয় ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল। গত চার বছরেও এখানে প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতি বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে গত এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত হন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যেতে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ট্রমা সেন্টারটি চালু হলে এই কষ্ট কমে আসবে বলে মত স্থানীয়দের। উদ্বোধনের পর থেকে এই সেন্টার করোনাকালে ভ্যাকসিন প্রদানসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়।
জানা যায়, ট্রমা সেন্টারগুলোর প্রতিটিতে রয়েছে ২০ শয্যা। এসব সেন্টারের জন্য একজন আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা, ৩ জন জুনিয়র কনসালট্যান্ট, ৬ জন সহকারী সার্জন, নার্স, টেকনোলজিস্টসহ ৩৬টি পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। চাহিদা পাঠানো হয় পর্যাপ্ত আসবাবপত্র ও অপারেশনের যন্ত্রপাতির।
মহাসড়কের পাশে ট্রমা সেন্টার নির্মাণ করার উদ্দেশ্য, দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা। এতে মৃত্যুহার কমবে এবং অনেকে পঙ্গুত্ব থেকে বাঁচবে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।
সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সেবার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংস্কার কাজ চলছে। লোহাগাড়া ও হাটহাজারী ট্রমা সেন্টার অতি দ্রুত জনগণের সেবার জন্য খুলে দেওয়া হবে।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ