চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে গ্যাস সংকট চরমে। সরবরাহ কম থাকায় বাসাবাড়ি, সিএনজি পাম্প, ফিলিং স্টেশন ও শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন হচ্ছে। এতে লাখো গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়েছেন।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে নগরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, সিএনজি পাম্প, ফিলিং স্টেশন ও আবাসিক এলাকায় গ্যাসের সরবরাহ নেই।
নগরের কদমতলী ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নিতে আসেন সিএনজি অটোরিকশা চালক আব্দুল আলীম। তিনি বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে গ্যাসের জন্য আসছি। দিনের বেলা হচ্ছে ব্যবসার আসল সময়, আজও গ্যাস না নিয়ে ফিরতে হচ্ছে। কেন গ্যাস নেই কেউ নির্দিষ্ট করে তা বলতে পারছে না।
সিএনজি চালক খোরশেদ বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে গ্যাসের জন্য আসছি। দিনে একবার গ্যাস আসছে, তাও কয়েক ঘন্টা পরপর। এতে ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।
চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় সংকট দেখা দিয়েছে। কলকারখানার পাশাপাশি সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন এবং আবাসিক গ্রাহকদের বিদ্যমান সংকট চরম আকার ধারণ করবে। এর থেকে কমানো হলে গ্যাস সরবরাহ নেটওয়ার্কের স্বাভাবিক প্রবাহ টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে।
তিনি বলেন, কক্সবাজারের মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল থেকে জাতীয় গ্রিডে ৮০০ থেকে ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হতো। বর্তমানে একটি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এ কারণে এলএনজি সরবরাহ কমেছে।
তিনি আরও বলেন, এলএনজি আমদানি বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, শিগগিরই এলএনজি সরবরাহ বাড়ানো হবে।
গ্যাস সংকটের কারণে চট্টগ্রামের সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা, ট্রাক ও বাস চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে জনসাধারণের ভোগান্তি বেড়েছে।
চট্টগ্রাম নাগরিক অধিকার সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিদার আশরাফী বলেন, গ্যাস সংকট নিয়ে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। কর্তৃপক্ষকে দ্রুত এলএনজি সরবরাহ বাড়াতে হবে।
চাটগাঁ নিউজ/ এম আর