চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ মামলায় আসামি সাড়ে ৭ হাজার

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রলীগ যুবলীগের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত ও শতাধিক আহত হওয়ার ঘটনায় সিএমপির দুই থানায় ৪টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় অন্তত সাড়ে ৭ হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে এসব মামলা রুজু করা হয়। এর মধ্যে খুলশী থানায় একটি এবং পাঁচলাইশ থানায় বাকি তিন মামলা করা হয়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে গতকালের সংঘর্ষের পর ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। তবে তার সংখ্যা কত জানা জায়নি।

সিএমপি কমিশনার বলেন, ৪টি মামলা হয়েছে। আরো মামলা হবে। এসব মামলায় সাড়ে ৭ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে তিনটি মামলা হয়েছে পাঁচলাইশ থানায়। পুলিশ বাদী হয়ে দুটি এবং সংঘর্ষে আহত একজনের মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এসব মামলায় যাতে কোনও নিরপরাধ লোক আসামি না হয় এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের আমি নির্দেশনা দিয়েছি।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, মঙ্গলবার বিকালে মুরাদপুর এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি প্রায় সাত হাজার। এই তিন মামলার মধ্যে পুলিশ করেছে দুটি। অন্যটি আহত একজনের মা করেছেন। পুলিশের দুই মামলার বাদী পাঁচলাইশ থানার এসআই দীপক দেওয়ান।

তিনি আরও বলেন, তিন জন নিহতের ঘটনায় করা মামলায় ছয় হাজার থেকে সাড়ে ছয় হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইমন ধর নামে আহত এক ব্যক্তির মা সুমি ধর বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (পিআর) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় খুলশী থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে। আহত এক ব্যক্তির স্বজন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ মামলায় একজনের নাম উল্লেখ করে ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সংঘর্ষে তিন জন নিহত এবং শতাধিক আহত হন। নিহতরা হলেন- মো. ওমর ফারুক (৩২), ওয়াসিম আকরাম (২৩) ও ফয়সাল আহমেদ শান্ত (২৪)। ফারুক স্থানীয় একটি ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী এবং কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মো. দুলালের ছেলে। ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মেহেরনামা গ্রামের শফিউল আলমের ছেলে। ফয়সাল চট্টগ্রামের ওমরগণি এমইএস কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র।

চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস

Scroll to Top