চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর সবচেয়ে বেশি তোপের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। সারা দেশে থানা ও ট্রাফিক স্থাপনায় হামলা হয়েছে, সদস্যদের মারধর ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও আওয়ামী ঘেঁষা কেউ আটক হন কেউবা আত্মগোপনে চলে যান। এ পরিস্থিতিতে ট্রাফিক পুলিশ শূন্য ট্রাফিক সিগন্যাল ও সড়কে যান চলাচলের শৃঙ্খলার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে ছাত্র-জনতা।
তবে ছয়দিন পর আগামীকাল সোমবার থেকে চট্টগ্রাম নগরের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি পয়েন্টে সড়কে দায়িত্ব পালন করবেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। তাদের সাথে থেকে সমন্বয় করবেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে নগরের দামপাড়া পুলিশ লাইনসের কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় এ কথা জানান নগর পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ কমিশনার বলেন, প্রথমদিকে আগ্রাবাদ, টাইগারপাস, ওয়াসা, লালখানবাজার এবং আগ্রাবাদ এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। প্রয়োজন হলে নিউমার্কেট এলাকায়ও সমন্বয় করা হবে।
কমিশনার বলেন, আমি রাস্তাঘাটে আসতে যেতে দেখছি আসলে আমাদের শিক্ষার্থীরা কি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। তাদের এ উদ্যোগকে অবশ্যই সাধুবাদ জানাতে হবে। তবে আমার তাদের এ কষ্ট আর সহ্য হচ্ছে না।
শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক বিষয়ক ট্রেনিং করানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমি শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক বিষয়ক কিছু ট্রেইনিং করাবো। আর একটি কথা, কোনোভাবেই যেন কোনো কুচক্রীমহল সুবিধা নিতে না পারে।’
পুলিশের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয় উল্লেখ করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কাল থেকে আমরা পোশাকে বের হবো। তখন যদি তোমরা আমাকে ধাওয়া করো তাহলে কিন্তু আমি চলে যাবো।’
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ