চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার নেতৃত্বে একদল তরুণ কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার কার্যালয় দখল করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর নিউ মার্কেটে অবস্থিত দোস্ত বিল্ডিংয়ের কার্যালয়টি দখল করা হয়।
এনসিপির চট্টগ্রাম নগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নগরের সাবেক আহ্বায়ক আরিফ মঈনুদ্দিন এই দখলে নেতৃত্ব দেন। তার সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও কর্মীরাও ছিলেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় দখল নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একদল তরুণ কার্যালয়ের সামনের দেয়ালে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করছেন। এতে আরিফ মঈনুদ্দিনসহ এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম নগরের দোস্ত বিল্ডিং আওয়ামী লীগ ছাড়া বিএনপি, বাসদ, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের কার্যালয় রয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই কার্যালয়ে এক দফা ভাঙচুর করা হয়। এর পর থেকে কার্যালয়টি তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।
তবে এই কার্যালয়ে রাতের আঁধারে কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সভা করতেন বলে দাবি করেন এনসিপির চট্টগ্রাম নগরীর যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ মঈনুদ্দিন।
তিনি বলেন, ভবনটিতে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম চলত। রাতে ভবনটিতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সভা করতেন। এ খবর পাওয়ার পর তারা আজকে (মঙ্গলবার) সেখানে যান। এরপর নিরাপত্তাপ্রহরীকে রাতে এখানে কারা আসেন জিজ্ঞাসা করেন। নিরাপত্তাপ্রহরী রাতে এখানে কেউ আসার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এরপর তারা তালা ভেঙে কার্যালয়ের ভেতরে ঢোকেন। পরে সেখানে বিভিন্ন প্রমাণ দেখতে পান। এ কারণে তারা কার্যালয়টি তালা দিয়ে রেখেছেন। আগামী দুই দিন ভবনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন।
আরিফ মঈনুদ্দিন আরও বলেন, এই ভবনটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি। একাত্তরের পর বিহারিরা এই ভবনটি ফেলে যায়। ভবনটিতে আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিএনপিসহ আরও অনেক দলের কার্যালয় রয়েছে।
আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় দখলের বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানান নগরীর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন বলেও তিনি জানান।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ