চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পৃথক অভিযানে অস্ত্র ও গুলিসহ দুই ডাকাত এবং হাটহাজারীর ১৬ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ।
গতকাল (১৬ নভেম্বর) দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার পদুয়া ইউনিয়নের মৌলভীখীল তিন রাস্তার মোড়ে চেকপোস্ট স্থাপন করে জেলা গোয়েন্দা শাখা ও দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা যৌথভাবে হুমায়ুন উদ্দিন আকাশ প্রবাসী লেদাইয়াকে গ্রেফতার করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাউজান থানার মকবুল আহমেদ সওদাগরের বাড়ির পাশে ঝোপ থেকে একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানাই, আজ ১৭ নভেম্বর ভোরে রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে নোয়াপাড়া ইউনিয়নে হত্যা, ডাকাতি ও অস্ত্র মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মো. শাহ আলমকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শাহ আলম দৌড়ে পালানোর সময় হাতে থাকা একটি বিদেশি পিস্তল পাশের পুকুরে নিক্ষেপ করে। পরে ধাওয়া করে তাকে আটক করা হয়।
তার বসতঘর তল্লাশিতে পাওয়া যায়—৪টি দেশীয় এলজি, ২ রাউন্ড কার্তুজ, একটি কার্তুজের খোসা ও একটি গুলির খোসা। পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন এবং ৫ রাউন্ড গুলি।
সিডিএমএস অনুসন্ধানে জানা যায়, শাহ আলমের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজি ও অপহরণসহ মোট ৯টি মামলা রয়েছে এবং হত্যা, ডাকাতি ও অপহরণসহ ৪টি ওয়ারেন্ট মুলতবি আছে। তিনি চাঞ্চল্যকর আবদুল হাকিম হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামিও বলে জানা গেছে।
হাটহাজারীতে ১৬ মামলার আসামি হানিফ গ্রেফতার:
অপরদিকে হাটহাজারী মডেল থানার এসআই রুপন নাথের নেতৃত্বে ফতেহপুর ইউনিয়নের শয্যাপাড়া এলাকায় অভিযানে গ্রেফতার করা হয় মো. হানিফকে। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ককটেল বিস্ফোরণ ও টায়ার জ্বালিয়ে ত্রাস সৃষ্টির ভিডিও পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে হানিফ গ্রামীণ ব্যাংকসহ বিভিন্ন স্থানে নাশকতার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করে। থানার তথ্য অনুসারে তার বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।
অভিযানে অংশ নেওয়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, চলমান অভিযানে আরও কয়েকজন সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারীর বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন







