চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামের ৩ ব্যবসায়ী অর্থ পাচার করেছে কি-না, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দিয়েছেন। ১৮১ কোটি ৫০ লাখ টাকা খেলাপিঋণ আদায়ে সিটি ব্যাংক চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখার করা একটি অর্থঋণ মামলার শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
অভিযুক্ত ৩ সহোদর ব্যবসায়ীরা হলেন- জয়নাল আবেদীন, জামিল আবেদীন এবং আলাউদ্দিন। তারা এম কে শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির পরিচালক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা সিটি ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখা থেকে ১৫২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ঋণ নেয়। ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে এসব ঋণ নেয় তারা। এর মধ্যে মাত্র ৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা পরিশোধ করেন তারা। বাকি টাকা পরিশোধ না করে অভিযুক্তরা বিদেশে পালিয়ে যায়। বর্তমানে আদালতে ঋণের বিপরীতে বন্ধকি সম্পত্তি রয়েছে মাত্র ১৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকার।
চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাংকের অন্তত ১০টি মামলা অর্থঋণ আদালতে চলমান রয়েছে। আদালতে বিবাদীদের পক্ষে সই জাল করে মামলায় জবাব দেওয়া হলে তাদের জবাব নাকচ করেন বিচারক। পরবর্তী সময়ে আদালতে এসে জবাবে সই করতে নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা আদালতে উপস্থিত হননি। তাই বিপুল পরিমাণ ঋণের টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে কি না তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বিএফআইইউকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে