নিজস্ব প্রতিবেদক: হরতাল-অবরোধের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক রাখার জন্য বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সবাই মতামত পেশ করেছেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, ছয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসার সদস্যের কয়েকটি টিম কাল থেকে টহল শুরু করেছে।
যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। চট্টগ্রামের প্রতিটি মোড়ে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনো মূল্যে গাড়ি চালানোর কথা বলেছেন বাস পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা।
সভায় দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহনে গাড়ি ছাড়ার আগে যাত্রীদের ভিডিও ধারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কোনো জায়গায় জড়ো হওয়া লোক দেখলে তাৎক্ষণিক কন্ট্রোল রুম অথবা ৯৯৯ নম্বরে অবহিত করার অনুরোধ জানানো হয়। চট্টগ্রাম জেলার সব উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তাদের জরুরি ভিত্তিক আইনশৃঙ্খলা সভা করা নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জনগণের সম্পদ রক্ষায় মাঠে থাকার কথা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, কোনো দুর্বৃত্তকে দেশের সম্পদ নষ্ট করতে দেওয়া হবে না। যারা এ অপকর্ম করার চেষ্টা করবে তাদের আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেব।
সভায় ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতা, পুলিশের প্রতিনিধি, বিজিবি প্রতিনিধি, র্যাব প্রতিনিধি, সরকারি সংস্থা, আনসার প্রতিনিধি, বাস মালিক সংগঠনের নেতা, জনপ্রতিনিধিরা ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।