নিজস্ব প্রতিবেদক : ইফতারের অন্যতম উপকরণ খেজুর। হরেক পদের ইফতারির সঙ্গে খেজুর না থাকলে অপূর্ণতা লাগে। ফলে রমজানে খেজুরের চাহিদা প্রচুর। তাই রোজা শুরুর আগে থেকেই হিমাগারে খেজুর মজুদ শুরু করে অসাধু ব্যবসায়ীরা। দামেও হয় কারসাজি। যদিও রোজার শুরুতে খেজুরের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার। কিন্তু সরকারের দামে খেজুর বিক্রি করছেন না কোনো ব্যবসায়ী।
বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাধ্য হয়ে মাঠে নামে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজারের শেষ প্রান্তে অবস্থিত একটি কোল্ড স্টোরেজে (হিমাগার) অভিযান চালাতে গিয়ে চোখ কপালে উঠে ম্যাজিস্ট্রেটের।
শতাধিক টন প্যাকেটজাত খেজুরের মজুদ রয়েছে ওই হিমাগারে। খবর নিয়ে জানতে পারেন গত বছর আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাস থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন আমদানীকারক ও পাইকারি বিক্রেতা খেজুরগুলো মজুদ করেছেন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত আগামী ৭ দিনের মধ্যে হিমাগারের সব খেজুর বাজারে ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। অন্যথায় খেজুরগুলো জব্দ করে নিলামে বিক্রয় করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।
এদিকে, ২৮০০ টাকায় কেনা খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৪১০০ টাকায়- এমন অভিযোগে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে নগরীর ফলমন্ডির আলী জেনারেল ট্রেডার্স নামে এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয় ৩০ হাজার টাকা। মূল্য তালিকা না থাকাই অপর দুই প্রতিষ্ঠানকে যথাক্রমে ৫ হাজার এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আলী জেনারেল ট্রেডার্সের মালিক লিয়াকত আলি বলেন, ফলমন্ডিতে তিন শতাধিক দোকান রয়েছে। তবে কেউ জানেনা ২০% লাভ করার নিয়মটা। এখন থেকে আমরা সেটি মেনে ব্যবসা করবো।
উল্লেখ্য : গত সোমবার (১১ মার্চ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অতি সাধারণ ও নিম্নমানের খেজুরের দাম কেজিপ্রতি ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুরের দাম কেজিপ্রতি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা নির্ধারণ করে দেন।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ