চট্টগ্রামকে ‘স্মার্ট শহর’ বানাতে সহযোগিতা চান মেয়র

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামকে ‘স্মার্ট শহর’ হিসেবে গড়ে তুলতে আইটি উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা চেয়ে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘আমাদের দেশে এখন সম্ভাবনাময় যে খাত সেটা হচ্ছে ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইটি)। এ খাতকে যদি আমরা বিভিন্নভাবে সামনে আনতে পারি তাহলে একসময় এটাও দেশের জিডিপিতে অবদান রাখতে পারবে। চট্টগ্রামকে আমি স্মার্ট সিটি দেখতে চাই। এ ক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।’

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরীর জিইসি কনভেনশন হলে ‘চট্টগ্রাম আইসিটি ফেয়ার-২০২৫’র সমাপনী অনুষ্ঠানে মেয়র এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বড় ইভেন্টগুলো চট্টগ্রামে কম হয়। সব ইভেন্ট ঢাকামুখী হয়ে গেছে। এখন বর্তমান যুগ রোবোটিকস ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের দিকে যাচ্ছে। পুরো পৃথিবী কিন্তু সেদিকে যাচ্ছে, আর আমরাও যাচ্ছি।’

মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রামকে একটা স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ইন্টারনেট ক্যাবলগুলো মাটির নিচে নিয়ে যেতে আমার সঙ্গে সামিট গ্রুপ, বাহনসহ তিনটি কোম্পানি দেখা করেছে। গতকালও (বৃহস্পতিবার) তারা এসেছে। আমি দীর্ঘক্ষণ তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। যাদের কাজ ভালো হবে অবশ্যই আমি তাদের সঙ্গে কাজ করব। কোয়ালিটির একটি প্যাটার্ন যাতে চট্টগ্রামের এ এক্টিভিটির মধ্যে থাকে।’

বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা নাজুক জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন প্রবলেম গত ১৬ বছর ধরে হয়েছে। মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি হয়েছে। দিনশেষে বাংলাদেশ থেকে ২৪ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। আমাদের তরুণরা তাদের সে বিনিয়োগের সোর্স খুঁজে পাচ্ছে না। সবমিলিয়ে আমাদের বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা খুবই নাজুক।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইএসপিএবির সভাপতি এমদাদুল হক ও সেক্রেটারি নাজমুল করিম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের সভাপতি আমিনুল হক, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে কার্যনির্বাহীর সদস্য তারিকুল ইসলাম তানভীর ও আইএসপিএবির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদস্য সচিব ফারহান ফুয়াদ।

সমাপনী অনুষ্ঠানের আগে শুক্রবার বিকেলে মেলা পরিদর্শনে যান তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও উদ্যোক্তা সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকী। তিনি বেশ কয়েকটি স্টল ঘুরে মেলার সার্বিক চিত্র দেখেন।

মেলার সমাপনী দিনে সকালে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কুইজ অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতায় নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছে। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুজন করে শিক্ষার্থী কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

এতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আর রানার্স আপ হয়েছেন ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা অন্য সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো- চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটোরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাং ও আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম।

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top