চকরিয়া প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় রশি টেনে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে হুমায়ুন কবির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ঘটনায় জড়িত থাকার কথা সে স্বীকার করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চকরিয়া থানার ওসি তৌহিদুল আনোয়ার।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে হুমায়ুন কবির স্বীকারোক্তিমূলক এ জবানবন্দি দেয়। হুমায়ুন কবির বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা বাজার এলাকার রেনু মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় ওসি তৌহিদুল আনোয়ারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনায় জড়িত অপরাপর ডাকাতদের ধরতে অভিযান শুরু করে। অভিযানের একপর্যায়ে পুলিশ লামার ইয়াংছা এলাকা থেকে ডাকাত ফরিদুল আলম ও হামিদ হোছাইন নামের ২ ডাকাতকে আটক করে। এসময় ডাকাতদের ধাওয়া করার সময় পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন ওসি তৌহিদুল আনোয়ার।
বৃহস্পতিবার (১৮সেপ্টেম্বর) রাতে মাহমুদুল হকসহ উখিয়ার তিনজন ও ঈদগাঁও উপজেলার একজনসহ চার বন্ধু মিলে দুটি মোটরসাইকেল যোগে খাগড়াছড়ি জেলার সাজেকে যাচ্ছিলেন। রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট রিংভং ঢালা এলাকায় পৌঁছলে একদল দূর্বৃত্ত রশি টেনে তাদের গাড়ি দুটি গতিরোধ করে। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহীসহ ৪ জনকে কুপিয়ে জখম করে গাড়ি ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনায় নিহত হয় মাহমুদুল হক নামে উখিয়ার এক যুবক। তিনি উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ বালুখালী এলাকার নবী হোসেনের ছেলে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে নিহতের বাবা বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, মালুমঘাটে যুবক নিহতের ঘটনায় মামলা হওয়ার পর প্রথমে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে এজাহারভুক্ত আরো দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
চাটগাঁ নিউজ/জুবাইরুল/এমকেএন