আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আক্রমণের ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইয়েমেনের রেড সি উপকূলের গুরুত্বপূর্ণ হোদেইদা বন্দরে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ হামলা চালানো হয়। হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েল হুমকি দিয়ে বন্দর এলাকা খালি করতে বলে।
রাতের দিকে পরিচালিত হামলায় বন্দর এলাকার ডকসহ অন্তত তিনটি স্থাপনা ধ্বংস হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হামলা প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলে এবং এতে তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
হুতিদের নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টেলিভিশন জানিয়েছে, বন্দরের ডকে অন্তত ১২টি বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এসব ডক এর আগে আগস্টে ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পুনরায় সংস্কার করা হয়েছিল।
হামলার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেন, ‘হুতি সন্ত্রাসী সংগঠনকে বারবার আঘাত করা হবে এবং ইসরায়েলে হামলার যেকোনো প্রচেষ্টার জন্য তাদের যন্ত্রণাদায়ক মূল্য দিতে হবে।’
এই হামলার পর হুতি সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি দাবি করেছেন, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে। তবে এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করা হয়নি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, হোদেইদা বন্দর ইরানের কাছ থেকে অস্ত্র সরবরাহের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং এসব অস্ত্র ইসরায়েল ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে হামলায় কাজে লাগানো হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হোদেইদা বন্দর ইয়েমেনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখান দিয়েই দেশের অধিকাংশ খাদ্য ও ত্রাণ সরবরাহ হয়। এ হামলার ফলে মানবিক সংকট আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ