চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর প্রভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া দপ্তর। এটি সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি-১ শক্তিমাত্রার ঝড় হিসেবে ২৬ মে দিবাগত রাত থেকে ২৭ মে সকালের মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এই ঝড়ের কারণে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরো ঘনীভূত হয়ে শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যা ৬টায় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পৃথক পৃথক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের মোকাবিলায় চট্টগ্রামে প্রস্তুত করা হচ্ছে ৫০০টি আশ্রয়কেন্দ্র। ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তত হয়েছে। ৯টি স্টেশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে ২৭০ জনকে প্রস্তুত রেখেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এছাড়া নগরের আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে চালু করেছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনও সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছেড়ে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।
আবহাওয়া দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ার সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
শনিবার রাতে আবহাওয়া দপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়টি রাত ৮টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস