চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দরে নিজস্ব অ্যালার্ট-১ জারি করা হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষায় আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সব ধরনের লাইটার জাহাজকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। সংকেত বাড়লে জেটিতে থাকা জাহাজও পাঠিয়ে দেওয়া হবে বহির্নোঙরে।
আজ শনিবার রাতে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর দিকে আরও অগ্রসর ও ঘনীভূত হচ্ছে। শনিবার (২৫ মে) রাতে এটি শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড় রেমালে রূপ নিতে পারে বলে ।
আগামীকাল রবিবার (২৬ মে) সকাল নাগাদ ‘রেমাল’ অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের মহাপরিচালক আজিজুর রহমান।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানান, বন্দরে নিজস্ব অ্যালার্ট-১ জারি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বন্দর জেটি এবং বহির্নোঙরে অবস্থানরত জাহাজগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক আছে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, আবহাওয়া অফিস ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করলে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব অ্যালার্ট-২ জারি করে। এ ছাড়া ৫ নম্বর থেকে ৭ নম্বর পর্যন্ত বিপদ সংকেত জারি করলে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব অ্যালার্ট-৩ জারি করে।
তখন বহির্নোঙর ও জেটিতে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেয়া হয়। পাশাপাশি জেটি থেকে জাহাজগুলো সাগরে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
মহাবিপদ সংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক নিজস্ব ‘অ্যালার্ট-৪’ জারি করে। তখন বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখে।
এদিকে, শনিবার ঢাকার আবহাওয়া অধিফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়াবিদ মো. আজিজুর রহমান জানান- ঘূর্ণিঝড় রেমাল ‘সিভিয়ার সাইক্লোনে’ পরিণত হতে পারে। ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে এটি অতি প্রবল আকার ধারণ করে আঘাত হানতে পারে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে।
তিনি জানান, সাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরো অগ্রসর ও ঘনীভূত হচ্ছে। আজ রাত ৯টায় আরো শক্তি সঞ্চয় করে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। পরের দিন রোববার সকাল নাগাদ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস