চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি মুছে দিয়ে এবার সমালোচনার মুখে পড়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়বাংলা ভাস্কর্য সংলগ্ন একটি ব্রিজের দেয়ালে শহীদ হৃদয় তরুয়া ও ফরহাদ হোসেন নাম সম্বলিত গ্রাফিতি মুছে দেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) চবি প্রশাসন গণঅভ্যুত্থানে নিহত বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শহীদ শিক্ষার্থীর নাম মুছে দিলে এ সমালোচনার সূত্রপাত হয়।
তবে চবি প্রশাসন বলছে, দুই শহীদ শিক্ষার্থীর নামে অধিকতর সুন্দর করে গ্রাফিতি আঁকার পরিকল্পনায় এই গ্রাফিতি মুছে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে চবি’র উপ-উপচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা দুই শহীদের নাম সুন্দর করে লিখব বলেই মুছে দিয়েছি। এর আগে শিক্ষার্থীরা নামে ভুল করেছে এবং লেখাটাও অসুন্দর ছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীরা কেন এর প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে বুঝতে পারছি না। এখানে ভুল বুঝাবুঝির অবকাশ নেই।
ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে আরিয়ান খান রাকিব নামের এক শিক্ষার্থী লিখেন, ‘হৃদয় তরুয়া ও ফরহাদের নাম মুছে দেওয়ার আগে ভাবার দরকার ছিল তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আজ আপনারা ভিসি, প্রো-ভিসি হয়েছেন। আপনাদের যদি এতই সৌন্দর্য বর্ধনের ইচ্ছে থাকত, তাহলে লেখাটি মোছার সাথে সাথে সুন্দর করে লিখতে পারতেন। ক্যাম্পাসে হামলা, শাটলে হামলা, ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ২০০ টাকার জায়গায় ১০০০ টাকা, এ ছাড়া যে কোটার জন্য দেশ স্বাধীন হলো সেই কোটা বহাল রেখে আপনারা কীসের সৌন্দর্যবর্ধন করতে চাচ্ছেন? একটু জানতে পারি কি?
তাহসান হাবিব নামের আরেক শিক্ষার্থী লিখেন, এই প্রশাসন আমাদের জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি চিহ্ন মুছে দিয়ে কীসের সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজ করছে? নাকি তারা আমাদের শহীদদের নামকে ভয় পায়? ফ্যাসিস্টের পুনর্বাসন চলছে?
২৮ ডিসেম্বর শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি)-সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে থাকা শেখ হাসিনার গ্রাফিতিটি (‘ঘৃণাস্তম্ভ’) অর্ধেকটা মুছে ফেলা হয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। পরে ‘ঘৃণাস্তম্ভে’ শেখ হাসিনার আরেকটি গ্রাফিতি আঁকা হয়। এবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি মুছে সমালোচনার মুখে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি