চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করেছে আওয়ামীলীগ সমর্থকরা। এসময় সেনাসদস্য ও সাংবাদিকসহ অন্তত ১৭ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপিনাথপুর বাস স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দুইজনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
এসময় সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন ও অস্ত্র লুটসহ সংবাদ সংগ্রহকালে চ্যানেল-২৪ এর গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি বাদল সাহা ও মাছরাঙা টেলিভিশনের সাবেত আহমেদকে লাঞ্চিত করে মারধর করা হয়।
সদর উপজেলার গোপিনাথপুর স্ট্যান্ডে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে কয়েক হাজার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে গোপালগঞ্জে কর্মরত সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে গেলে তাদের দেখে ভুয়া ভুয়া শ্লোগান দেয় বিক্ষোভকারীরা।
এসময় জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের সেনাবাহিনী রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার কথা বললে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জনতা। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়লে একজন সেনা সদস্য এক বিক্ষোভকারীর কোমরে অস্ত্র ধরে। পরে বিক্ষোভকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ইট-পাটকেল ছুড়ে সেনা সদস্যদের মারপিট শুরু করে।
এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা সদস্যরা ফাকা গুলি ছোঁড়েন। স্থানীদের দাবি সেনাবাহিনীর গুলিতে অন্তত ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। স্থানীয় জনতা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করে অস্ত্র লুট করে। পরে সেনা সদস্যরা দৌড়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এসময় দুইটি বাসও ভাঙচুর করা হয়। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর লুট করা অস্ত্র নিয়ে আনন্দ উল্লাস করে মিছিল করতে থাকে আন্দোলনকারীরা।
গোপালগঞ্জ ক্যাম্পের লেঃ কর্নেল মাকসুদুর রহমান মোবাইল ফোনে জানান, ৩/৪ হাজার জনতা সদর উপজেলার গোপিনাথপুর এলাকায় জড়ো হয়ে রাস্তা অবরোধ করে রাখেন। তাদেরকে রাস্তা থেকে সরে যেতে বললে জনগন উত্তেজিত হয়ে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে।এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে ৪ সেনা সদস্য আহত হয়েছেন।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে