চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। বয়স ১৪৮ ছুঁই ছুঁই। শতবর্ষী এই বিদ্যালয়ের মাঠটি হাতিয়ে নিতে ওঠে পড়ে লেগেছে কতিপয় ভূমিদস্যু। শুনতে অবাক লাগলেও শতকোটি টাকা মূল্যের সাড়ে ১৫ কাঠার এই মাঠটি ২০০৬ সালে বিক্রি করা হয়েছে মাত্র ৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকায়। সম্প্রতি নামজারির জন্য আবেদন করা হলে বিষয়টি নজরে আসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
অভিযোগ উঠেছে— চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, ভূমি অফিস ও সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বিদ্যালয়ের এই সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে অতি গোপনে। ফলে কাদের মাধ্যমে স্কুলের এই সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে সে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। এতে ক্ষোভ ঝারতে দেখা গেছে স্কুলটির শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে অভিভাবকসহ চট্টগ্রামের সচেতন মহলকে।
জানা গেছে, ডা. খাস্তগীর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় চট্টগ্রামের প্রাচীনতম এবং অন্যতম প্রথম বালিকা বিদ্যালয়। প্রতি বছর পাবলিক পরীক্ষায় ফলাফলে শীর্ষ থাকা এই বিদ্যালয় ২০২৪ সালে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারসহ দেশ বরেণ্য শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। ক্লাস বিরতিতে স্কুলটির সেই পুরোনো মাঠে তাদের পদচারণা ছিল হরহামেশা।
স্কুলটির বর্তমান শিক্ষার্থীদের দাবি, পুরোনো সেই মাঠটি সংস্কার করে পুনরায় খেলার উপযোগী করা হোক। এতে করে কমতে পারে ভূমিদস্যুদের দৌরাত্ম্য।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. খাস্তগীর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহেদা আক্তার বলেন, মাঠটি শিক্ষার্থীদের অন্যতম বিনোদনের মাধ্যম। এটি স্কুলের জায়গা, যা বর্তমানে স্কুলের ভোগ-দখলে রয়েছে। কোনো ভূমিদস্যু বা কোন দুষ্কৃতকারীদের হাতে আমাদের স্কুলের জায়গা তুলে দিবো না।
বাকলিয়া সার্কেল ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুমা আক্তার কণা বলেন, নামজারির জন্য যতবারই আবেদন করুক আমরা তা খারিজ করে দিবো। পূর্বেও নামজারির জন্য আবেদন করা হয়েছে। সেটিও খারিজ করা হয়েছিল।
তবে কারা নামজারি করতে আসছে কিংবা কাদের নামে নামজারি করার পাঁয়তারা চলছে সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ/এসএ