‘গিঁট’ খুলেছে চট্টগ্রাম চেম্বারের, নির্বাচনে নেই বাধা
রোববার সিদ্ধান্ত

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপের অংশগ্রহণ নিয়ে টানাপোড়েনের অবসান ঘটিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। রিট খারিজ হওয়ায় চট্টগ্রাম চেম্বারের স্থগিত নির্বাচন আয়োজনে আর কোনো বাধা থাকছে না।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের বেঞ্চ এই রিট খারিজ করে দেন বলে জানা গেছে।

পরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটের শুনানিতে চিটাগাং চেম্বারের টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপের পক্ষে অংশ নেওয়া আইনজীবী ফারজানা খান।

তিনি বলেন, ‘আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন- টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলো সময়মতো সদস্যপদ নবায়ন করেছে। তাই তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে কোনো সমস্যা নেই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যে নির্দেশ দিয়ে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছে, সেটিই কার্যকর থাকবে।’

জানা যায়, মূল রিটটি করেছিলেন চেম্বারের অর্ডিনারি সদস্য মোহাম্মদ বেলাল। তিনি টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপের অংশগ্রহণকে চ্যালেঞ্জ করেন। রিটের শুনানি চলাকালে হাইকোর্ট প্রথমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ স্থগিত করে নির্বাচন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। এরপর আপিল বিভাগও রুল নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত রাখে। ফলে ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন আর অনুষ্ঠিত হয়নি।

ইউনাইটেড বিজনেস ফোরাম প্যানেলের আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, তারা যে পয়েন্টের উপর রিটটি করেছেন, ওটা কোনো পয়েন্টটিও ছিল না। ওরা প্রথমে যখন এসছে, তখন তারা কোর্টকে মিসলিড করে অর্ডারটা নিয়েছে। আমাদের যারা ক্যান্ডিডেট আছে, তাদেরকে বাদি না করে, মিনিস্ট্রি ও চেম্বারকে করেছে। আমরা নোটিশও পাইনি, অর্ডারও পাইনি। এটি এপিলেড ডিভিশনে যাওয়ার পর কোর্ট বললেন- ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদেরকে পার্টি করার জন্য। ওরা পার্টি করে নাই। পরে আমাদের পক্ষ থেকে কনটেম্ট ক্যাস করা হলো। তারপর তারা আমাদেরকে পার্টি করেছে। পার্টি করার পর এটা অনেক আগে শেষ হয়ে যেত। তারা ইচ্ছে করে দেরি করেছে।’

নির্বাচনের দিন নির্ধারণ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে হাইকোর্টে ছিলাম। একটু পর চট্টগ্রামে ফিরবো। কাল (শুক্রবার) ও পরশু (শনিবার) যেহেতু সরকারি ছুটি, তাই নির্বাচন কমিশন বোর্ডের সঙ্গে রবিবার বসবো। এরপর উনারা যেভাবে নির্বাচনের প্ল্যান ও তারিখ দিবে, আমরা সেভাবে নির্বাচন করবো।’

তবে এ বিষয়ে রিটকারী মোহাম্মদ বেলাল ও সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের প্যানেল লিডার এসএম নূরুল হকের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, চিটাগাং চেম্বারে ১০ বছর পর ১ নভেম্বর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও রিটের কারণে তা স্থগিত হয়। এখন রায় ঘোষিত হওয়ায় নির্বাচন কমিশন নতুন ভোটের তারিখ দেবে, এবং সদস্যরা আশা করছেন আর কোনো আইনি বাধা আসবে না।

মোট ২৪ পরিচালক পদের মধ্যে টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপের ছয়জন আগেই ইউনাইটেড বিজনেস ফোরাম প্যানেল থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে নেতৃত্বে যেতে তাদের আরও সাতটি পদ পেলেই হবে। বিপরীতে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদকে নেতৃত্বে আসতে হলে ১৮টি পদের মধ্যে কমপক্ষে ১৩টিতে জিততে হবে, যা অনেকের মতে বেশ কঠিন।

চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ

Scroll to Top