সিপ্লাস ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলার ব্যাপকতা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। নির্বিচার হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে রোববার পর্যন্ত গাজায় ১০ হাজার ২২ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চার হাজার ১০৪ জন শিশু এবং ২ হাজার ৬৪১ জন নারী। ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে ২৫ হাজার ৪০৮ জন ফিলিস্তিনি।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিখোঁজ রয়েছে অন্তত দুই হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে এক হাজারেরও বেশি শিশু। নিখোঁজদের প্রায় সবাই ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ভবনগুলোর নিচে চাপা পড়ে আছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় চলমান যুদ্ধে সংস্থাটির ৮৮ জন কর্মী নিহত হয়েছে। এর আগে আর কোনো একক সংঘাতে জাতিসংঘের এত সদস্যের প্রাণহানি ঘটেনি।
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা থেকে বাদ পড়ছে না শরণার্থী শিবির, স্কুল, মসজিদ, গির্জা, এমনকি হাসপাতালও। নির্বিচার হামলায় মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে গাজা।
জাতিসংঘের ত্রাণ বিতরণ সংস্থা ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর বোমাবর্ষণে প্রতি ১০ মিনিটে একজন নিহত হচ্ছে, আহত হচ্ছে আরও ২ জন।
৩২ দিন ধরে চলমান এই যুদ্ধের অবসানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতা ও আন্তর্জাতিক সংস্থা আহ্বান জানালেও তাতে কর্ণপাত করছে না ইসরাইল। ইসরাইলের স্থল বাহিনী গাজা উপত্যকাকে দুই ভাগে বিভক্ত করে হামলা পরিচালনা করছে।
সোমবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, সেনারা গাজায় প্রবেশ করে উপকূল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। তারা গাজা উপত্যকাকে উত্তর গাজা এবং দক্ষিণ গাজায় বিভক্ত করে ফেলেছে।
সামরিক বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, দুই-একদিনের মধ্যেই গাজার ভেতরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী লড়াই শুরু করবে। দীর্ঘ দিনের প্রস্তুতি নেওয়া সেনাবাহিনী এবার গাজার রাস্তায় রাস্তায় যুদ্ধে লিপ্ত হবে। এতে হতাহতের সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।