চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামে গণপূর্ত বিভাগের কার্যালয়ের ঠিকাদার সমিতির অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন ঠিকাদারসহ দু’জন গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই হামলায় এস এম পারভেজ নামে এক যুবলীগ নেতার কয়েকজন অনুসারীকে শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার (৩০ জুন) দুপুরে নগরীর আগ্রাবাদে গণপূর্ত ভবনে হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত ঠিকাদার জাহাঙ্গীর আলম (৩২) এবং সমিতির অফিসের এক কর্মচারিকে নগরের আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যুবলীগ নেতা এস এম পারভেজ (৩৬) নগরীর আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনির আবুল কাশেমের ছেলে। পারভেজ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন বাচ্চুর অনুসারী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন।
এ বিষয়ে উপ পুলিশ কমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, ‘গণপূর্ত ভবনের ভেতরে ঠিকাদার সমিতির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একজন ঠিকাদার আহত হয়েছেন। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে হামলাকারীদের কয়েকজনকে শনাক্ত করেছি। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এস এম পারভেজ নামে এক ব্যক্তি, সম্ভবত তিনিও একজন সাবেক ঠিকাদার, তার পক্ষের লোকজন হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।’
ঠিকাদার কাজী মাহমুদুল হাসান রনি জানান, এস এম পারভেজের অনুসারী সুমন ও জালালের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটে। মাসুম, তমাল, রিয়াজ, সায়েম, জিসানসহ আরও কয়েকজন হামলায় অংশ নেয়।
হামলার কারণ জানতে চাইলে গণপূর্ত বিভাগ ঠিকাদার সমিতির নেতা হাসান মজুমদার শাকিল বলেন, ‘২০২১ সালে আরও একবার গণপূর্ত ভবনে ঢুকে পারভেজ হামলা করেছিল। তখন ডবলমুরিং থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। এ ঘটনার পর থেকে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির কারণে পারভেজ ও তার অনুসারীরা আর গণপূর্ত ভবনে আসতে পারেনি। তিন বছর পর আবার হামলা করে ভয়ের পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে পারভেজ ও তার অনুসারীরা গণপূর্ত ভবনে প্রবেশ করে ঠিকাদারি ব্যবসায়ী আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করেছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এস এম পারভেজ বলেন, ‘২০২১ সালে গণপূর্ত ভবনের ঘটনার পর গত তিন বছর ধরে আমি সেখানে যাই না। আমি ঠিকাদারি ব্যবসাও করি না। কারা সেখানে হামলা করল, আমি কিছুই জানি না। আবার যাদের আমার অনুসারী বলা হচ্ছে, আমি তাদের কাউকে চিনি না। তবে শুনেছি, শাকিল ও রনি কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে সাধারণ ঠিকাদারদের কাছ থেকে পাঁচ শতাংশ কমিশন অগ্রিম নিয়েছে। কিন্তু জুন মাস শেষ হয়ে যাবার পরও তাদের কাজ দিতে পারেনি। সাধারণ ঠিকাদাররা এর প্রতিবাদ করলে শাকিল ও রনির অনুসারীরা তাদের ওপর হামলা করেছে।’
চাটগাঁ নিউজ/এসএ