সিপ্লাস ডেস্ক: সরকারের একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টার বিরুদ্ধে গোটা জাতি জাগছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের মাজারে যান মির্জা ফখরুল। পরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মোনাজাতে অংশ নেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকেও ক্ষমতাসীন সরকারের একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টার বিরুদ্ধে গোটা জাতি জেগে উঠেছে। জাতি আজ সংকটে। কিন্তু খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে গোটা জাতি জেগে উঠেছে। তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইনশাআল্লাহ, আমরা সেই লড়াই-সংগ্রামে জয়ী হব।
তিনি বলেন, জনগণের নেতা জিয়াউর রহমান। তিনি আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। আমরা তাকে শ্রদ্ধা জানাই। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্মা মানুষ। ৭ নভেম্বর তিনি জাতির ক্রান্তিলগ্নে হাল ধরেছিলেন। হতাশাগ্রস্ত জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ নতুনভাবে উজ্জীবিত হয়ে নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। তিনি একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন। মুক্তবাজার অর্থনীতি উপহার দিয়েছেন। আজকে আধুনিক বাংলাদেশের উন্নয়নের ভিত্তি রচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, মীর সরফত আলী সপু, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, ফজলুর রহমান খোকনসহ অসংখ্য নেতাকর্মী। পরে ঢাকা মহানগর বিএনপিসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারাও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
তাদের অন্যতম হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, শাম্মী আখতার, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, তানজিল হাসান, তবিবুর রহমান সাগর, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, ডা. মো. আবদুস সালাম, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, আবুল খায়ের খাজা, কাজী মো. আমীর খসরু, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু প্রমুখ।