চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: খাগড়াছড়ি সদর থানায় পাল্টাপাল্টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতা ও এক নেত্রী। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে উল্লেখ করেন দুজন। এদিকে পাল্টাপাল্টি জিডির ঘটনায় জেলায় ব্যাপক আলোচনা চলছে।
জিডির দুই পক্ষ হলেন—এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মনজিলা সুলতানা ঝুমা এবং দলটির গুইমারা উপজেলা শাখার প্রধান সমন্বয়ক ও জেলা শাখার যুগ্ম সমন্বয়ক মো. রাসেল শেখ।
জানা গেছে, গত ১২ জুলাই খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মনজিলা সুলতানা ঝুমার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনেন মো. রাসেল শেখ। তিনি দাবি করেন, মনজিলা ঝুমা দীর্ঘদিন ধরে এনসিপির নাম ব্যবহার করে পার্বত্য জেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্প ও বাজেট থেকে কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে গুইমারা বাজারের ইজারা লভ্যাংশ আত্মসাৎ, এক কোটি ৬০ লাখ টাকার কাজ এবং ১৫ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য আত্মসাতের অভিযোগও।
এদিকে মনজিলা সুলতানা ঝুমা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে ওই দিন রাতে একটি জিডি করেন খাগড়াছড়ি সদর থানায়। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, ১২ জুলাই সকালে মো. রাসেল শেখ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘কন্যা ভুল করিস না… ধীরে ধীরে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছি… বয়কট’ শীর্ষক একটি পোস্ট দেন এবং তার নিচে একাধিক নেতিবাচক মন্তব্য করেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে তার বিরুদ্ধে মানহানিকর, কুরুচিপূর্ণ এবং ভিত্তিহীন পোস্ট ছড়ানো হয়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ওইদিন রাসেল শেখ সংবাদ সম্মেলনে তার এবং তার সংগঠনের বিরুদ্ধে অপমানজনক বক্তব্য দিয়েছেন, যা তার সম্মানহানির শামিল। এই ঘটনার পর থেকে তিনিও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জিডিতে উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে মনজিলা ঝুমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলার পর থেকেই নিজেকে নিরাপত্তাহীন মনে করে পরদিন ১৩ জুলাই খাগড়াছড়ি সদর থানায় পাল্টা জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেছেন মো. রাসেল শেখ। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, সংবাদ সম্মেলনের পর থেকে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ও তার সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন পোস্ট ছড়ানো হচ্ছে। এসব কারণে উদ্বিগ্নতা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা পাল্টাপাল্টি জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুই পক্ষের সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন