চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে গরুর ঘাস খাওয়া ও শালিসি বৈঠককে কেন্দ্র করে দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আবুল কালাম (৫০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৮ জন। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রামগড় পৌরসভার তৈচালাপাড়া ওয়ার্ড এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশসূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রামগড় পৌরসভার তৈচালাপাড়া ওয়ার্ড এলাকার মর্তুজা আলীর জমিতে একই এলাকার সাদ্দামের গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে সামাজিক বিচার বসে। এ সময় দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। পরে বাক-বিতণ্ডা রূপ নেয় সংঘর্ষে। আর এই সংঘর্ষে আহত হন প্রায় ৯ জন। যার মধ্যে গুরুতর আহন হন ৩ জন।
পরে তাদের উদ্ধার করে রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ৩ জনকে চমেক হাসপাতালে এবং একজনকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। চমেক হাসপাতালে ভর্তি মো. আবুল কালাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোরে মারা যান বলে নিশ্চিত করে তার পরিবার।
নিহতের সন্তান মো. জিদান বলেন, তারা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে আমার নিরাপরাধ বাবাকে হত্যা করেছে। আমরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছি। দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেফতারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন— সিরাজ মিয়া, তার চার ছেলে শাহিন আলম , সাদ্দাম হোসেন , সাহাদাত হোসেন , সাফায়েত হোসেন, তার মেয়ে শারমিন আক্তার সুমি এবং প্রতিবেশী সাহাব উদ্দিন।
আহত শাহিন আলমের অভিযোগ, সালিশী বৈঠক চলাকালীন কেন বিচার দিয়েছে এমন অভিযোগ তুলে প্রতিপক্ষের আবছার, মৌমিন, শাহিন ও দাউদ দেশীয় দা- ছুরি ও লাঠি নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদের আহত করে। হামলাকারীরা পতিত স্বৈরাচার যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে দাবি করেন শাহিন।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন জানান, নিহতের ছেলে বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে। নিহতের মরদেহ চট্টগ্রাম থেকে এনে পুলিশ হেফাজতে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি পাঠানো হয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ