চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়ের শ্রেণী পরিবর্তনকারীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ দিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম । খতিয়ানে নাল, বসতভিটা বা খিলা যাই লেখা থাক সরেজমিন পরিদর্শনে বাস্তবে পাহাড় দেখা গেলে সেই জমি পাহাড় শ্রেণীতে পরিবর্তন করা হবে বলে তিনি জানান।
এছাড়া সরকারী পাহাড় হলে কথা নাই ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড়েরও শ্রেণী পরিবর্তন করতে কোন ধরনের সুপারিশ বা অনুরোধ গ্রাহ্য করা হবেনা বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন।
আজ রোববার (২২ জুন) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড় কর্তন রোধ কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড় রক্ষায় মহানগরীকে পাঁচটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। সভায় প্রতিটি জোনে আলাদা করে জরুরী শ্যাল্টার খোলার স্থান নির্ধারন করার আদেশ প্রদান করেন, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।
মহানগরীর পাহাড়ে বসবাসকারীদের ঝুকি বিবেচনায় তিন শ্রেনীতে বিভক্ত করা হয়। অতি ঝুকিপূর্ন বা ক শ্রেণীকে আগামী দুই দিনের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আসন্ন বর্ষায় পাহাড় ধ্বসে প্রাণহানি বন্ধে সম্ভাব্য সবকিছু করা হচ্ছে বলে বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন।
জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মোঃ সাদি উর রহমান জাদিদ এর সঞ্চালনায় সভায় বেলার পক্ষে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক আলীউর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার সাধারণ সম্পাদক স ম বখতিয়ার, পরিবেশ সংগঠক সাংবাদিক শফিকুর রহমান প্রমুখ।
সভায় পুলিশ প্রশাসন, চট্টগ্রাম মহানরীর এসি ল্যান্ড, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিডিএ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ