স্পোর্টস ডেস্ক : সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তো বটেই, এমনকি সব দল মিলিয়েও অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার ছিলেন সাকিব আল হাসান। রোহিত শর্মার পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপের সবকটি আসরেই খেলেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই সাকিবের কাছে সমর্থকদের প্রত্যাশা ছিল বেশি। তবে সেই সাকিব প্রত্যাশার ছিটেফোঁটাও পূরণ করতে পারেননি বোলিং কিংবা ব্যাটিংয়ে। ডাচদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ৬৪ রানের ইনিংস ছাড়া পুরো আসরজুড়েই ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব।
সাকিবের মতো নিষ্প্রভ ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। তাই স্বাভাবিকভাবেই দাবি উঠেছে এই দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের অবসর নেওয়ার। এই দাবি আরও জোরাল হয়েছে ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানোর পর রোহিত-কোহলির মতো পরীক্ষিত পারফর্মার অবসর নেওয়ায়। সাকিব নিজে অবসর নিয়ে কি কিছু ভেবেছেন; যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে এসব প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল সাকিবের কাছে। যেখানে নিজেকে যাচাই করতে সময় নিয়েছেন সাকিব।
যুক্তরাষ্ট্রে মেজর লিগ ক্রিকেট, এরপর কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ খেলবেন সাকিব। এরপর দেশে ফিরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলার কথা রয়েছে তার। সাকিব তাই আপাতত সে সব নিয়েই ভাবছেন। অবসর নিয়ে ভাববেন এই ম্যাচগুলোতে নিজের পারফরম্যান্স দেখার পর।
দেশ ছাড়ার আগে অবসর নিয়ে সাকিব বলেন, ‘নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে কোনো প্ল্যান নেই। এখন আপাতত প্ল্যান হচ্ছে, সামনে দুটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আছে মেজর লিগ আর গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি। পরপর দুটি টুর্নামেন্ট খেলে দেখি নিজের কী অবস্থা। এরপর আন্তর্জাতিক সিরিজ আছে, পাকিস্তানের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ। তো, আপাতত প্ল্যান এটুকুই। খুব বেশি প্ল্যান করিনি।’
সাকিব আরও বলেন, ‘আসলে নিজের অবস্থা বোঝার দরকার আছে। আসলে এখন আর অমন সময় নেই যে তিন বছর চার বছর ধরে প্ল্যান করার। তিন মাস-ছয় মাসের প্ল্যান করাটাই ভালো। আপাতত পাকিস্তান সিরিজ পর্যন্ত প্ল্যান আছে।’
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে