চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়েতে বিধ্বস্ত হয় জেজু এয়ারের একটি যাত্রীবাহী বিমান। এ দুর্ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৭৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। বিমানটি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয় জন ক্রু নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া আসছিল। এ দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বার্ড স্ট্রাইক বা ইঞ্জিনে পাখির আঘাত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য মিরর বলছে, দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান শহরের একটি বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয়জন ক্রুসহ একটি যাত্রীবাহী বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের দেয়ালে বিধ্বস্ত হওয়ার পর ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা দু’জন ছাড়া আরোহীদের সকলেই মারা গেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় অগ্নিনির্বাপক সংস্থার প্রধান লি জিয়ং হিউন বলছেন, খারাপ আবহাওয়া ও পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়নহাপ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে, পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগায় ল্যান্ডিং গিয়ারে জটিলতার কারণে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ভিডিওতে নীল পরিষ্কার আকাশ দেখা যাচ্ছে। যার অর্থ খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমানটির দুর্ঘটনায় পড়ার সম্ভাবনা কম।
তাছাড়া ওই উড়োজাহাজের ভেতর থাকা এক যাত্রী দুর্ঘটনার আগ মুহূর্তে তার আত্মীয়কে এক বার্তা পাঠান উড়োজাহাজের ডানায় একটি পাখি আটকে আছে। আমরা অবতরণ করতে পারছি না।
উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময়কার একাধিক ভিডিও ফুটেজ অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। কোরিয়ার সম্প্রচারমাধ্যম এমবিসির একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মুয়ান বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণের পর উড়োজাহাজটির ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।
উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে একজন যাত্রী ও একজন ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় অগ্নিনির্বাপক সংস্থা। তারা জানায় দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করা হচ্ছে।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি