সিপ্লাস ডেস্ক: সরকার কৃষিজমি নষ্ট করে নতুন করে আর অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে চায় না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
তিনি বলেন, দেশে এ মুহূর্তে অনেকগুলো অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে গেছে। সেখানে অনেক জমিও খালি পড়ে আছে। এখন সবাই নিজ এলাকায় একটা অর্থনৈতিক অঞ্চল চান। কিন্তু আমরা চাই, কোথায় সেটা যথাযথ হবে। আমরা তো কৃষিজমি আর নষ্ট করতে চাই না। প্রধানমন্ত্রী অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনতে বলেছেন।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের চতুর্থ অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা। এসময় বরিশালে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় ডিসিদের প্রস্তাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘সবার উদ্দেশে আমি বলেছি, প্রধানমন্ত্রী আমাদের ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) উনি আরেকটা টার্গেট দিয়েছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ডলারে নিয়ে যেতে হবে। এ চ্যালেঞ্জ অর্জন বা বাস্তবায়ন করা সহজ নয়।’
তিনি বলেন, ‘অনেকগুলো দেশ নিম্নআয় থেকে মধ্যআয়ের দেশে গ্রাজুয়েট করেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা ২০-২৫ বছর আগে গ্রাজুয়েট করেছে। তারা কিন্তু এরপর নেক্সট ধাপে যেতে পারেনি। আমরা এলডিসি হিসাবেও ওদের চেয়ে ভালো আছি।’
প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, ‘যেসব দেশ এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েট করেছে, হাতে গোনা কয়েকটি দেশ কিন্তু উন্নত দেশ হতে পেরেছে। দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর উন্নত হতে পেরেছে। প্রধানমন্ত্রী যে লক্ষ্যটা দিয়েছেন, সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে মাঠপর্যায় থেকে কাজ করতে হবে। ডিসিদের সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
সালমান এফ রহমান আরও বলেন, ‘টার্গেট পূরণে প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের ধারণা দিয়েছেন। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, কোয়ান্টাম কম্পিউটার, অপটিক্যাল ফাইবার এসব প্রযুক্তি যদি আমরা গ্রহণ করতে পারি, তাহলে টার্গেট অ্যাচিভ করা সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তা। প্রধানমন্ত্রী সেটার ওপরও জোর দিয়েছেন। উনি অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনতে বলেছেন। এ দুটি বিষয় যদি ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ ও ১২ হাজার ডলার মথাপিছু আয়ের লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।’
সম্মেলনে জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে কী বলা হয়েছ- এমন প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘ডিসিরা নানান কথা বলেছেন। কোথাও গ্যাসের সমস্যা, বিসিক শিল্পনগরীর বিভিন্ন সমস্যার কথা তারা তুলে ধরেছেন।’