কাশ্মীর সীমান্তে দু’দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি থামছে না

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে আবারও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে টানা আট রাত ধরে কাশ্মীর সীমান্তে দু’দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটল।

আজ শুক্রবার (০২ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে এতে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

যদিও ভারতীয় গণমাধ্যমে গোলাগুলির বিষয়ে বরাবরের মতো পাকিস্তানকে দোষারোপ করা হয়েছে, তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বা দেশটির সংবাদমাধ্যমে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর পাকিস্তান সেনাবাহিনী টানা অষ্টম রাতেও বিনা উসকানিতে গুলি চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানের বিভিন্ন চৌকি থেকে ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়।

এই গুলির লক্ষ্য ছিল কুপওয়ারা, বারামুলা, পুঞ্চ, নওশেরা ও আখনুর-জম্মু ও কাশ্মীরের এই এলাকাগুলোর বিপরীতে থাকা ভারতীয় পোস্টগুলো। ভারতীয় সেনাবাহিনীও এই ৭৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তজুড়ে পাল্টা জবাব দিয়েছে।

এদিকে ভারতকে এই অঞ্চলে বৃহত্তর সংঘাত এড়াতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র।

দেশটি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র চায় না দক্ষিণ এশিয়ায় আরও বড় কোনো সংঘাত ছড়িয়ে পড়ুক।

এ নিয়ে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় না এই হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ায় আরও বড় কোনো সংঘাত ছড়িয়ে পড়ুক।

ফক্স নিউজের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের আশা, ভারত এমনভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে যাতে এই ঘটনা থেকে কোনো বড় আঞ্চলিক সংঘাত তৈরি না হয়।’

অপরদিকে, ভারতের যেকোনো দুঃসাহসের দ্রুত ও কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির।

দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশে টিলা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে (টিএফএফআর) সামরিক মহড়া পরিদর্শনে গিয়ে এমন হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেন, ‘একটি বিষয় নিয়ে কোনো রকমের বিভ্রান্তির সুযোগ নেই। তা হলো, ভারতের যেকোনো সামরিক দুঃসাহসের দ্রুত জবাব দেওয়া হবে, যা হবে দৃঢ় এবং জোরালো।’

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ ঘটনার পেছনে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে নয়াদিল্লি অভিযোগ করলেও তা নাকচ করেছে পাকিস্তান।

চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন

Scroll to Top