চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : কালুরঘাট সেতু সংস্কারের প্রথম ধাপ শেষ করে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও যানবাহন চলাচলে সময় লাগবে আরো দুই মাস। অর্থাৎ মার্চের মাঝামাঝিতে এ সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে জানান সংশ্লিষ্টরা।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে, প্রায় ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বুয়েট প্রকৌশলীদের পরামর্শে সংস্কার করা হচ্ছে কালুরঘাট সেতু।
বিশেষ প্রযুক্তির ঢালাই ও পিচ বা কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংস্কারকাজ শেষ করার চেষ্টা রয়েছে। সব মিলিয়ে মার্চের মাঝামাঝিতে যানবাহন চলাচলের খুলে দেওয়া হবে এ সেতু।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর ১৯৩০ সালে নির্মিত কালুরঘাট রেল সেতুটি নির্মিত হয়েছে। সেই হিসেবে সেতুর বয়স প্রায় ৯৫ বছর। ১৯৫৮ সাল থেকেই রেলের পাশাপাশি এই সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করে আসছে। দীর্ঘদিনের পুরানো এই সেতু যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলে নতুন একটি সেতু নির্মাণের জন্য বিভিন্ন সময় দাবি উঠলে তা বাস্তবায়ন হয়নি। সম্প্রতি দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণের পর এ সেতুর বিকল্প হিসেবে নতুন সেতু নির্মাণের দাবি আরও জোরালো হয়। তবে উচ্চতা নিয়ে জটিলতায় নতুন সেতু নির্মাণকাজ বিলম্বিত হওয়ায় রেলওয়ে বিদ্যমান সেতুটি সংস্কারের মাধ্যমে সংকট নিরসনের চেষ্টা করছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিঞা বলেন, নতুন সেতু নির্মাণের আগপর্যন্ত পুরনো কালুরঘাট সেতু মেরামত করেই যানচলাচল শুরু হবে। আমরা আশা করছি মার্চ মাসের মাঝামাঝিতে এ সেতুতে যানচলাচল স্বাভাবিক হবে। এছাড়া কক্সবাজার পর্যন্ত একাধিক নতুন ও আন্তঃনগর ট্রেন চলাচলের প্রয়োজনে সেতুটি দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারযোগ্য করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা করছি আমরা।
জানা গেছে, দীর্ঘ আট মাস সংস্কার কাজের প্রয়োজনে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বোয়ালখালীর মানুষের যাতায়াতের জন্য চালু করা হয় ফেরি সার্ভিস। কিন্তু নানা কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষদের।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ