চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : কালুরঘাট সেতুর উভয় পাশে ফেরিঘাটের সংযোগ সড়ক নির্মাণে কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ তদন্তে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৫ মার্চ) ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল সাড়ে দশটা থেকে এপ্রোচ সড়ক পরিমাপ করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
এদিকে, বাস্তবায়িত কাজে সরেজমিনে পরিমাপের জন্য গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বোয়ালখালী (এলজিইডি) প্রকৌশলী রেজাউল করিম ও হাটহাজারী উপ-প্রকৌশলী আ.স.ম রাশেদুল আহসানকে লিখিতভাবে জানানো হয়। পরিমাপ শেষে প্রতিবেদন দাখিলের কথাও বলা হয়েছে চিঠিতে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে সকাল থেকে কালুরঘাটের এপ্রোচ সড়কে পরিমাপ চলছে। পরিমাপ শেষে প্রকৌশলীদের প্রতিবেদন পেলে বাকিটা বলা যাবে।
এর আগে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর কালুরঘাটে ফেরিঘাট নির্মাণে অনিয়ম ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ তারিখে বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন মারফত জানতে পারি- বড় ধরনের সংস্কার কাজের জন্য কালুরঘাট সেতু বন্ধ রেখে পারাপারের বিকল্প হিসেবে নিচ দিয়ে ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে। এ লক্ষ্যে ৪ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে কর্ণফুলীর উভয় পাড়ে এপ্রোচ সড়ক, পল্টুন ও বেইলি ব্রিজ স্থাপন করা হয়। কিন্তু গত ১ আগস্ট ফেরি চালুর প্রথম দিনেই যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়ে দক্ষিণের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ