চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: কালবৈশাখীর তাণ্ডবে চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। কারণ প্রচন্ড ঝড়ে গাছপালা, ঘরবাড়ি উপড়ে পড়াসহ ফসলের ক্ষতি হয়েছে বেশি। বিভিন্ন স্থানে ভেঙেছে বহু বিদ্যুতের খুঁটি। এতে করে ঔসব এলাকায় বন্ধ বিদ্যুৎ সরবরাহ।
সোমবার (২১ মার্চ) ভোর ৬ থেকে ৭টা প্রায় ১ঘন্টা উপজেলার কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে উপজেলার ৬নং ইছাখালী ও ১১নং মঘাদিয়া ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে৷ এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার জনসাধারণ।
প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা গেছে, মঘাদিয়া ইউনিয়নের হাসিমনগর এলাকা কালবৈশাখী ঝড়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাসিম নগর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের পাশে তারেক স্টোর নামের একটি দোকানের উপর গাছ পড়ে দোকানটি লন্ড ভন্ড হয়ে গেছে। এতে দোকানির প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান দোকান মালিক৷ সড়কে গাছ পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য বড় বড় গাছ। বেশকিছু বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে গেছে।
ইছাখালী ইউনিয়নের চরশরৎ মডেল হাই স্কুলের টিনের চাল উড়ে নিয়ে যাওয়া খবর পাওয়া গেছে এবং একই এলাকায় আবাসন প্রকল্পের ঘরের চাল উড়ে গেছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় পরীক্ষার্থীদের মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেখা গেছে।
ভুক্তভোগীরা শাহাদাত বলেন, আমাদের এলাকায় আজ ভোরে ৬টার ঝড়ে পুরো গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। কমবেশি কাঁচা ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিভিন্ন ঘরবাড়ির চাল উড়ে গেছে, রাস্তায় গাছ পড়ে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে৷ বেশকিছু বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। আমাদের পাশের বাড়িতে গাছ পড়ে কৃষকের একটি গরু মারা গেছে।
স্কুল ছাত্র আব্দুর রহিম বলেন, আজ ভোরবেলায় কালবৈশাখীর প্রচণ্ড ঝড়ে আমাদের স্কুলের একটি ভবন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শ্রেণিকক্ষ, আসবাবপত্র এবং শিক্ষাসামগ্রীর মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।
মীরসরাই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম আদনান হোসেন জানান, ভোরের ঝড়ে মীরসরাই উপজেলায় আবুরহাট, মঘাদিয়া,ইছাখালী এলাকায় অন্তত ১৩টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। হঠাৎ প্রবল ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটিগুলো উপড়ে পড়ে যায়। কাজ চলমান আছে। দ্রুত যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ নেই সেসব এলাকায় ক্রমান্বয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন বলেন, এখনও ক্ষতিগ্রস্থদের তথ্য পাইনি। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ
