কালবেলার মনগড়া সংবাদের প্রতিবাদ কেডিএস গ্রুপের

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর দায়ে সমালোচিত দৈনিক কালবেলায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ‘এস আলম কেডিএস গ্রুপ মিলে আল আরাফাহ ব্যাংক ডাকাতি’ শীর্ষক এক মনগড়া সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ কেডিএস। পত্রিকাটি এর আগেও চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় এই শিল্পগ্রুপটি নিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে, যা নিয়ে ব্যবসায়ী মহলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

কেডিএস গ্রুপের পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ আল মাসুদ গাজী স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়— আমরা অত্যন্ত বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করে হতবাক হয়েছি, এস আলম ও কেডিএস-এর নাম পুরো সংবাদ জুড়ে এমনভাবে উপস্থাপিত হয়েছে যেন এ দুটি ব্যবসায়িক গ্রুপ একটি যূথবদ্ধ গোষ্ঠী। এদের একটি অপরটি ছাড়া যেন চলতে পারে না। মনে হচ্ছে ব্যাংক লুটপাটের একজন স্বক্রিয় অংশীদার এই কেডিএস গ্রুপ। বিগত সরকারের সময় যেমন বিএনপি-জামাত একটি যূথবদ্ধ গোষ্ঠী হিসাবে পরিচিতি পেয়েছিল।

পূর্বেও আপনাদের পত্রিকায় কেডিএস গ্রুপকে নিয়ে একই ধরনের অসত্য সংবাদ প্রচার করা হয়েছিল, যার ফলে কেডিএস গ্রুপের পক্ষ থেকে জোরালো প্রতিবাদ করা হয়। যেটি গত ৪/১০/২০২৪ ইং তারিখে প্রতিবাদ পত্রটি আপনাদের পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। তারপরও একটি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠির স্বক্রিয় সহযোগিতায় এই ধরনের অসত্য ও বানোয়াট সংবাদ কেডিএস গ্রুপের বিরুদ্ধে আপনাদের পত্রিকায় পরিবেশন করেই চলছে।

আপনাদের সদয় অবগতির জন্য আবশ্যক— কেডিএস গ্রল্প, আল-আরাফাহ ইসলামিক ব্যাংকের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা। কেডিএস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম রহমানসহ কেডিএস গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ ও কেডিএস টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ আল-আরাফাহ’র প্রাথমিক উদ্যোক্তা। কেডিএস গ্রুপের অনেক পরে এস আলম গ্রুপ ব্যাংকিং ব্যবসায় যুক্ত হয়েছে। দীর্ঘ ৪১ বছর যাবত কেডিএস গ্রুপ দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের সাথে সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কেডিএসের সাথে ব্যবসা করতে পারলে ব্যাংকাররা নিজেদেরকে নিরাপদ বিবেচনা করে থাকে। পাওনা আদায়ের জন্য নয়, বরং ব্যবসা পাওয়ার জন্য ব্যাংকাররা কেডিএসের পেছনে ছোটাছুটি করে।

১৯৮৩ সালে কেডিএস গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ স্থাপনের মাধ্যমে কেডিএস গ্রুপের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। এ গ্রুপের অধীনে বর্তমানে ৩৫টিরও বেশি শিল্পকারখানা রয়েছে। কেডিএস গ্রুপের অধীনে প্রায় ৩০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী কর্মরত আছেন। কেডিএস গ্রুপ প্রধানতঃ শিল্প গ্রুপ। পক্ষান্তরে এস আলম গ্রুপ মূলত ট্রেডিং ব্যবসায় নিয়োজিত। সাম্প্রতিককালে তারা কিছু শিল্প কারখানা স্থাপনের দিকে এগিয়ে এসেছে। দুটি গ্রুপের ব্যবসার ধরণ দুই রকম।

প্রতিবাদলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এস আলম গ্রুপের অবৈধ হস্তক্ষেপের ফলে দেশের ছয়টি ব্যাংক বর্তমানে রুগ্ন ব্যাংকে পরিণত হয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, এই ছয়টি ব্যাংকের কোনটির সাথে কেডিএস গ্রুপের কোন প্রকার বাণিজ্যিক লেনদেন নেই। এস আলমের ছোট ভাই আব্দুস সামাদ লাবু আল-আরাফাহ ব্যাংকে বিভিন্ন সময়ে চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু কেডিএস গ্রুপের পক্ষ থেকে সেলিম রহমান চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে অতন্দ্র প্রহরীর মত ব্যাংকের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে সজাগ দৃষ্টি রাখার ফলে আল-আরাফাহ ইসলামিক ব্যাংকে কোন ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটেনি। বস্তুতঃ সেলিম রহমানের কারণেই এ ব্যাংকটি দুর্বল ব্যাংকে পরিণত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।

কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান আল-আরাফাহ ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সাথে কোনভাবেই যুক্ত নন। তাঁর নামের সাথে এস আলম বা তাঁর সংশ্লিষ্ট কারো নাম যুক্ত করে ব্যাংকের বিভিন্ন নিয়োগ বা ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অপবাদ দেয়া কার্যত খলিলুর রহমানের ব্যবসায়িক সুনাম ক্ষুন্ন করারই নামান্তর।

আপনাদের প্রকাশিত সংবাদটি থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, প্রতিবেদক কর্তৃক উত্থাপিত অভিযোগসমূহ প্রকৃত তথ্যের সাথে আদৌ সম্পর্কিত নয়। অর্থনৈতিক বিষয় সম্পর্কিত সংবাদ উপস্থাপনের পূর্বে সংশ্লিষ্ট নথি যাচাই করে যথাযথ সত্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করতে হয়। কিন্তু বর্তমান ক্ষেত্রে প্রতিবেদক বিভিন্ন জনের কাছ থেকে শোনা কান কথার উপর ভিত্তি করে, কোন নথি যাচাই না করেই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। এ ধরণের ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ দেশের প্রথিতযশা কেডিএস শিল্প গ্রুপের দীর্ঘদিনের অর্জিত সুনামে কালিমা লেপনের পাশাপাশি আপনার পত্রিকারও সুনাম ক্ষুন্ন করবে।

সর্বপরি, আমরা দৃঢ়ভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি ভবিষ্যতে এ ধরণের কাল্পনিক ও অসত্য সংবাদ যাচাই-বাছাই না করে প্রকাশ করা হলে আমাদের গ্রুপের পক্ষ থেকে আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য থাকিব।

চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ/এসএ

Scroll to Top