কাপ্তাই প্রতিনিধি: এই সরালে এই আসে কচুরিপানা। যেন একটি কচুরিপানার ডোবা। দৃশ্যটি রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার জেটিঘাট সংলগ্ন কাপ্তাই লেকের দৃশ্য।
গত ৮ আগস্ট এবং গত ১০ আগস্ট দুই দফায় কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ স্পীল ওয়ের ৩ টি গেইট ছাড়ার মাধ্যমে কাপ্তাই জেটিঘাট সংলগ্ন কাপ্তাই লেক হতে কচুরিপানা অপসারণ করার পরও আবারও উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে লেকে কচুরিপানা ভরে যায়। যার ফলে মাত্র ৫ মিনিট এর নৌ পথ পাড়ি দিয়ে ঘন্টা খানেক সময় লাগছে ইঞ্জিন চালিত বোট চালকদের। কাপ্তাই – বিলাইছড়ি নৌ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরাও পড়েছেন মহা ভোগান্তিতে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বেলা ১১ টায় কাপ্তাই উপজেলার ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র আপষ্ট্রিম জেটিঘাট এলাকা সংলগ্ন কাপ্তাই লেকে গিয়ে দেখতে পাওয়া যায়, এখনোও
জেটিঘাট পল্টুন সংলগ্ন ১ কি: মি: এলাকা জুড়ে কাপ্তাই লেকে কচুরি পানার বিশাল বহরে দুর্ভোগ পড়ছেন এই ঘাট দিয়ে চলাচলকারী শত শত যাত্রী এবং বোট চালকরা।
কাপ্তাই বোট মালিক সমিতির লাইনম্যান শীতল সরকার এই প্রতিবেদককে বলেন , গত ৭ আগস্ট হতে ১ কি: মি: জেটিঘাট এলাকায় পাহাড়ি ঢলে কচুরিপানা আসতে শুরু করে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ দুই দফায় লেক হতে কচুরিপানা অপসারণ করলেও পরক্ষণে আবার লেকে কচুরিপানা ভরে যায়।
জেটিঘাট সংলগ্ন পল্টুনে কথা হয় বোট চালক মো: আজগর আলীর সাথে। তিনি বলেন, কচুরিপানার কারণে ৫ মিনিট এর পথ ১ ঘন্টা সময় লাগে। আমরা কচুরিপানার কাছে জিম্মি হয়ে আছি।
এসময় এই নৌ পথে চলাচলকারী যাত্রী মো: নঈম উদ্দীন ও আপ্রু মারমা বলেন, যাতায়াতের জন্য আমাদের প্রধান সমস্যা কচুরিপানা। মাত্র ৫ মিনিট পথ পাড়ি দিতে ঘন্টাখানেক সময় পার করতে হয়।
কাপ্তাই উপজেলার ৪নং কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ বলেন, বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কাপ্তাই লেকের শেষ মাথা হতে জেটিঘাটে কচুরিপানা এসে জমে যায়। ইতিমধ্যে এই সমস্যা সমাধানের জন্য রাঙামাটির সাংসদ দীপংকর তালুকদার মহোদয় গত সপ্তাহে কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকা ঘুরে গেছেন। কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এবং ইউনিয়ন পরিষদ ও সাধারণ জনগণ মিলে ইতিমধ্যে কাপ্তাই লেকের জেটিঘাট এলাকা হতে দুই বার কচুরিপানা অপসারণ করলেও আবার লেকে কচুরিপানা ভরে যায়। এটার একটা স্থায়ী সমাধান হওয়া দরকার।