কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি: কর্ণফুলী নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে নদীর দুপাশে যাত্রীসাধারণ দুর্ভোগে পড়েছে। গতকাল দিবাগত রাত ৩টা থেকে রাঙামাটির কাপ্তাই লেক থেকে কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট দিয়ে পানি ছাড়ার কারণে নদীতে প্রবল স্রোত তৈরি হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) রনেল চাকমা আজ সকালে বলেন, কাপ্তাই কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পিল ওয়ের ১৬টি গেট ছাড়ার ফলে কর্ণফুলী নদীতে প্রবল স্রোত সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে গতকাল দিবাগত রাত ৩টা থেকে এই নৌ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, নদীর দুপাশে কিছু যানবাহন ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। এ সময় চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে কথা হয় চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য মানবাধিকার ও নাট্যকর্মী মিজানুর রহমান বাবুর সঙ্গে। তিনি বলেন, এই নৌ রুটে প্রাকৃতিক কারণে প্রায়ই ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে জনদুর্ভোগ হয়। এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। সেতু নির্মাণ করা হলে মানুষের ভোগান্তি কমবে।
ফেরিঘাটে অপেক্ষারত মোটরসাইকেল আরোহী মো. শহীদুল ইসলাম, মো. সরফুল আলম ও সুকুমার বড়ুয়া বলেন, ওপারে যাওয়ার জন্য এসে দেখি ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমাদের কষ্টের শেষ নেই। এখানে সেতু হলে আমাদের দুঃখ লাঘব হবে।
বাসচালক মো. শুক্কুর, রাজস্থলীর বাঙ্গালহালিয়া থেকে আসা ব্যবসায়ী পুলক চৌধুরী, সিএনজি অটোচালক মো. আরিফ, বিপণনকর্মী মো. নুরনবী এবং যাত্রী মো. ওমর ফারুকের সাথে কথা হয়। তারা বলেন, সকালে এসে দেখি ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। পানি ছাড়ার কারণে নদীতে জোয়ার থাকায় ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ফেরির ইনচার্জ মো. শাহজাহান এবং ফেরির চালক মো. সিরাজ বলেন, নদীতে এখন অনেক স্রোত। স্রোত কমলে আমরা ফেরি চালানোর চেষ্টা করব।
চাটগাঁ নিউজ/ঝুলন/এমকেএন