কর্ণফুলীতে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর, জনতা দিল পিটুনি

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে প্রবেশের অভিযোগে দুজনকে গণপিটুনির পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে দিয়েছে জনতা। এদের মধ্যে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

গ্রেফতার দুজন হলেন- আনু মিয়া (৪০) ও জানে আলম (৩৫)। তাদের বাড়িও কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নে।

পুলিশ জানিয়েছে, খোরশেদ আলম নামে ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা পাওনা দাবি করে দুজন তার বাড়িতে ঢুকে এলোপাতাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় স্থানীয় মসজিদ থেকে ডাকাতি হচ্ছে বলে মাইকিং করার পর শত শত লোকজন জড়ো হয়ে ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে ও দুজনকে আটক করে।

স্থানীয়রা জানায়, খোরশেদ আলম কর্ণফুলী নদীতে বিভিন্ন নৌ যানে জ্বালানি তেল সরবরাহের ব্যবসা করেন৷ আনু মিয়া ও জানে আলম তাকে খুচরা তেল সরবরাহ করেন। আর্থিক লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর আগেও খোরশেদ একাধিকবার হামলার শিকার হয়েছিলেন।

কর্ণফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, আনু মিয়া ও জানে আলমের দাবি, তারা খোরশেদ আলমের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা পান। তবে খোরশেদ বলছেন, তারা কোনো টাকা পান না, ১২ লাখ টাকা তারা চাঁদা দাবি করে আসছে।

ওসি জানান, খোরশেদের অভিযোগ অনুযায়ী চাঁদার জন্য দুজন গত (শনিবার) রাতে তার বাড়িতে প্রবেশ করে ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় অবশ্য তিনি বাড়িতে ছিলেন না। জানতে পেরে তিনি গ্রামবাসীকে তার বাড়িতে ডাকাতি হচ্ছে বলে জানান। পরে মসজিদের মাইক থেকে বিষয়টি ঘোষণা দেওয়া হয়। এসময় ডাকাতির খবর শুনে পুরো গ্রামের শত, শত মানুষ গিয়ে ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে। এ সময় আনু মিয়া পালাতে গিয়ে ভবনের ওপর থেকে পড়ে যান। পিটুনিতে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। আরেকজনকে জনতা আটক করে। পরে দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

আহত আনু মিয়াকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ভাঙচুরের অভিযোগে খোরশেদ আলম মামলা করেছেন বলে ওসি জানিয়েছেন।

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

 

 

Scroll to Top