রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: কর্ণফুলীতে ড্রেজিং কার্যক্রম চালাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ড্রেজিং করা বালি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের পূর্ব সরফভাটা এলাকার নদী পাড়ে ফেলা হচ্ছে। এতে নদী পাড়জুড়ে ডুবে থাকা চরটি এখন উঁচু হয়ে তীরের সমান হয়েছে। ফলে নদী পাড়ে দৃশ্যমান এই চরটি এখন নয়নাভিরাম দৃশ্যে রূপ নিয়েছে। যেটি যেকাউকে মুগ্ধ করছে। যেখানে বিকাল হতেই বিভিন্ন এলাকা থেকে বেড়াতে আসতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষদের। পাড়জুড়ে নদীরক্ষা ব্লকের কাছে বালি ফেলার ফলে পাড়ের বাসিন্দারাও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তবে গোডাউন পর্যন্ত একইভাবে বালি ফেলে স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন ঠেকানোর দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জানা যায়, নদী ভাঙনের কারণে অভিশপ্ত কর্ণফুলীতে ২০০৮ সালের পর প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পূর্ব সরফভাটা থেকে গোডাউন পর্যন্ত ব্লক স্থাপন করা হয়েছে। এরফলে ভাঙন রোধ হয় এবং পূর্ব সরফভাটা এলাকা দিয়ে কর্ণফুলীর বিস্তির্ণ এলাকাজুড়ে চর জেগে উঠে। তবে তা শুধুমাত্র ভাটার সময় দেখা যেতো। সম্প্রতি কর্ণফুলী ড্রেজিং শুরু হলে কিছু কিছু এলাকায় ব্লক ধসে যেতে শুরু করে। পরে স্থানীয়দের অনুরোধে ড্রেজিং এর বালি নদী তীরে ফেলা হয়। এতে পূর্ব সরফভাটা দিয়ে অন্তত ৩০০ মিটার এলাকাজুড়ে ডুবো চর দৃশ্যমান হয়ে চমৎকার দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে। অন্যদিকে ব্লক ধসের ঘটনায় চিন্তার ভাজ পড়া জনসাধারণও আশার আলো দেখতে পায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদী ভাঙনের কারণে একসময়ের অভিশপ্ত কর্ণফুলী এখন বাসিন্দাদের জন্য আশির্বাদে রূপ নিয়েছে। নদীর শিলক খালের মুখ থেকে মরাখালের মুখ পর্যন্ত অন্তত ৩০০ মিটার এলাকাজুড়ে নদীপাড়ে ড্রেজিংয়ের বালি ফেলা হয়েছে। এতে পাড়ঘেষে ডুবোচর জেগে উঠে এখন দৃশ্যমান হয়েছে। যেটি সমুদ্র বীচের ন্যায় এই স্থানে নয়নাভিরাম দৃশ্যে রূপ নিয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এই স্থানে বেড়াতে আসছেন। আগতদের জন্য এই চরে নানা পসরা সাজিয়ে বসছেন বিভিন্ন দোকানি। অন্যদিকে চরের কারণে নদী পাড়ের ভাঙণ রোধ হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শতবর্ষী মোয়াবিনুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে শুরু করে রক্ষা হবে এই এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি। তবে এই চর স্থায়ীভাবে রক্ষা করে পরিকল্পিতভাবে প্যারাবন লাগালে এখানে অপার পর্যটন সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিন সরফভাটা মুয়াবিনুল ইসলাম মাদ্রাসা সংলগ্ন কর্ণফুলীর তীর এলাকায় পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর সম্ভাব্যতা পরিদর্শন করেন সরফভাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দীন চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন পূর্ব সরফভাটা মুয়াবিনুল ইসলাম মাদ্রাসার সহকারি পরিচালক মুফতি নেজাম উদ্দীন,আওয়ামী লীগ নেতা এনায়েতুর রহিম, খোরশেদ আলম সুজন, শহিদুল্লাহ চৌধুরী, দিদারুল আলম খোকন, সাইফুদ্দীন আজম, মোঃ ইউছুপ, হাশেম সওদাগর, যুবলীগ নেতা মোঃ সেলিম, মার্শাল টিটু, ছাত্রনেতা এজিএস রহমত উল্লাহ প্রমুখ।