কাপ্তাই প্রতিনিধি: কমতে শুরু করেছে কাপ্তাই লেকের পানি। কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পীল ওয়ের ১৬ টি জলকপাট দিয়েও ধাপে ধাপে পানির ছাড়া হচ্ছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৫ টা ৪৫ মিনিটে কাপ্তাই কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পীলওয়ের ১৬টি জলকপাট দিয়ে ৩০ ইঞ্চি পরিমাণ করে পানি ছাড়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৪৯ হাজার কিউসেক পানি লেকের পার্শ্ববর্তী কর্ণফুলী নদীতে পড়ছে। এসময় কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা ১০৮.৩৩ ফুট মীন সি লেভেল বলে জানান কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পীলওয়ে এর ১৬টি গেইট ৪২ ইঞ্চি পরিমাণ খুলে দিয়ে পানি কর্ণফুলীতে নিমজ্জিত করা হয়েছিল । তখন পানির উচ্চতা ছিল ১০৮.৩৬ ফুট মীন সি লেভেল। এছাড়া একইদিন দুপুর ১২ টায় কাপ্তাই কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পীলওয়ের ১৬টি গেইট দিয়ে ৪৮ ইঞ্চি পরিমাণ নিষ্কাশন হয়েছিল। তখন কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা ছিল ১০৮.৩৮ ফুট মীন সি লেভেল।
পিডিবির সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান, প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় আমরা লেকের পানির লেভেল পরিমাপ করে দেখলাম। লেকে ধীরে ধীরে পানি কমা শুরু হয়েছে। ফলে আমাদের স্পীল ওয়ে দিয়ে পানি ছাড়ার পরিমানও ধীরে ধীরে কমিয়ে দিচ্ছি।
গত ২৪ আগষ্ট কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র একটি জরুরী নোটিশের মাধ্যমে ২৫আগষ্ট সকাল ৮টা হতে স্পীল ওয়ে দিয়ে পানি ছাড়ার অনুমতি দেয়। এজন্য ভাটি অঞ্চলকে আগে জরুরি সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিলো।
অপরদিকে, হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার লংগদু, রাঙামাটি সদর এবং নানিয়ারচর, বাঘাইছড়ি উপজেলার নিম্ন এলাকার প্রায় ১৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। তবে গত ২ দিনে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
লংগদু উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিক গোলামুর রহমান জানিয়েছেন, লংগদু উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আজকে প্রায় ২ ফুট পানি কমে আসছে।
বাঘাইছড়ির মারিশ্যার মো.ইসকান্দর জানিয়েছেন, বাঘাইছড়িতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এদিকে, রাঙামাটি সদরের বিভিন্ন এলাকায় কাপ্তাই লেকের পানি লেভেল প্রায় এক থেকে ২ ফুট কমে আসছে।
চাটগাঁ নিউজ/ঝুলন/এআইকে