চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: কক্সবাজার শহরের আশুরঘোনায় পাহাড় ধসে দুটি বসতবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
শনিবার (৪ জুলাই) ভোররাতে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে সেখানকার বাসিন্দারা আগেই নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়াতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানায় স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ঘর দুটির মধ্যে একটি মোহাম্মদ আজিম উল্লাহ নামে এক ব্যক্তির। পাহাড় ধসের কারণে ঘরের বিভিন্ন অংশ ভেঙে যায় এবং আসবাবপত্র মাটির নিচে চাপা পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ভুক্তভোগী আজিম উল্লাহ বলেন, ঝুম বৃষ্টির মধ্যে হঠাৎ ঘরের চালের ওপর একটি বড় পাথর পড়ে। তখনই আমরা টের পাই বিপদ আসছে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে দ্রুত বাইরে বেরিয়ে যাই। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাহাড় ধসে পুরো ঘরের ওপর পড়ে। প্রাণে বাঁচলেও ঘরের সব কিছুই ধ্বংস হয়ে গেছে।
স্থানীয় মো. সাদ্দাম হোসেন জানান, টানা বৃষ্টির কারণে তারা আগেই সতর্ক হয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যান, যার ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
সাবেক পৌর কাউন্সিলর ওসমান সরওয়ার টিপু বলেন, প্রতি বছর বর্ষা এলেই কক্সবাজারে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দেয়। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আগাম সতর্কতা জারি রাখা হয় এবং প্রশাসন এ বিষয়ে সজাগ রয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ সালাহউদ্দিন জানান, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন সচেতনতামূলক ও প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে, এই ঘটনা আবারও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের ঝুঁকির বিষয়টি সামনে এনেছে।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ