কক্সবাজার-মহেশখালী ৬ নং ঘাটের অনিয়ম নিয়ে শিক্ষার্থীদের ১০ দফা

কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজার-মহেশখালী নৌরুটে কতিপয় সিন্ডিকেট প্রশাসনের সহযোগিতায় মহেশখালীর মানুষকে জিম্মি করে নিয়মিত চাঁদাবাজি করছে। চাঁদাবাজি বন্ধে কক্সবাজার-মহেশখালী ৬ নং ঘাটের অনিয়ন নিয়ে শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দিয়েছে। আগামী সোমবারের মধ্যে ছাত্র-জনতার দাবি অনুযায়ী তা মেনে নেওয়া না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে “বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা”।

শনিবার (১৭ আগস্ট) সাধারন শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ব্যানারে এ দাবি জানায়।

জানা যায়, কক্সবাজার-মহেশখালী নৌরুটে ৭০ টাকা থেকে বাড়তে বাড়তে এখন স্পিডবোট ভাড়া ১১০ টাকা। যা সাধারণ যাত্রীদের পক্ষে বহন করা সম্ভব না। ১১০ টাকার মধ্যে ১০ টাকা রাজস্ব হিসেবে নিয়ে নেয় জেলা প্রশাসন। এছাড়া ৬ নং ঘাটে ৫ টাকা রাজস্ব দিতে হয়। আসা-যাওয়াতে ৩০ টাকা রাজস্ব দিতে হয় একজন যাত্রীকে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অর্জিত নতুন বাংলাদেশে এখনো বৈষম্য করে যাচ্ছে কক্সবাজার-মহেশখালী নৌরুটের সিন্ডিকেটটি, যেখানে প্রশাসনও জিম্মি। এমতাবস্থায় এ রুটের নৈরাজ্য বন্ধ করতে কক্সবাজারে অবস্থানরত ছাত্রদের একটি টিম তিন দফা বৈঠকে বসে জেলা প্রশাসনের সাথে। কিন্তু জেলা প্রশাসন ছাত্র-জনতার যৌক্তিক দাবি আদায়ে সাড়া দেয়নি।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, এটি শুধু মহেশখালীবাসীর সমস্যা নয়। এটা কক্সবাজারের সকল জনগণ এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে ঘুরতে আসা দেশি-বিদেশি যাত্রীদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্র জনতা তাদের এই দাবী মেনে না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

ছাত্র-জনতার দাবি সমূহ—

১. কক্সবাজার-মহেশখালী নৌরুটে স্পিডবোট ভাড়া জনপ্রতি ৯০টাকা করে ১০ জন যাত্রী পরিবহণ করতে হবে।

২. দ্রুত গণপরিবহণ চালু করতে হবে। অর্থাৎ কাঠের তৈরি মাঝারি সাইজের লঞ্চ সার্ভিস চালু করতে হবে। যেখানে যাত্রী ছাউনীসহ লোকজন বসার জায়গা থাকবে।

৩. গামবোট হচ্ছে মালবাহী বোট। এগুলো নিয়ে যাত্রী পরিবহণ করা যাবে না। সাময়িক সময়ের জন্য (যতদিন গণপরিবহন চালু হবে না) ৪০জন যাত্রী নেয়া যাবে। ভাড়া নিতে হবে জনপ্রতি ৩০টাকা।

৪. মহেশখালী-চৌফলদন্ডী নৌরুটে গামবোটে ৩০জন যাত্রী পরিবহণ করবে। ভাড়া নিবে জনপ্রতি ২৫ টাকা।

৫. সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত স্পিড বোট এবং রাত ১০টা পর্যন্ত গণপরিবহন চলা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি যাত্রী সুবিধার জন্য টয়লেট, সুপেয় পানি, বসার স্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

৬. ঘাটে টিকিট সিস্টেম চালু করতে হবে। সেইসাথে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে তদারকি করাসহ প্রত্যেক বোট চালকদের ছবি সম্বলিত পরিচয়পত্র পরিধান ও বোটের নাম্বার স্থাপন করতে হবে।

৭. মহেশখালী ঘাটে বিনা টোলে দ্রুত যাত্রীসেবার পন্টুন স্থাপন করতে হবে।

৮. ঘাটে ভিআইপি প্রথার নাম করে কাউকে বাড়তি সুবিধা দেয়া চিরতরে বন্ধ করতে হবে। অসুস্থ রোগীদের প্রাধান্য দিতে হবে।

৯. ফিটনেস বিহীন বোট দ্রুত যাচাই করে নৌপথ থেকে তুলে ফেলতে হবে।

১০. পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট রাখতে হবে। এবং যাত্রীদের মাঝে লাইফজ্যাকেট ব্যবহারে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

চাটগাঁ নিউজ/আছহাব/এআইকে

Scroll to Top