কক্সবাজার বানের জলে নিখোঁজের একদিন পর মিললো ৪ শিশুর মরদেহ

সিপ্লাস ডেস্ক: কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়ায় বন্যার পানিতে ডুবে দুই ভাইবোনসহ চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে চকরিয়ায় একজন ও পেকুয়ায় তিনজন বলে নিশ্চিত করেছেন জনপ্রতিনিধিরা।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে পেকুয়ার উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল করিমের বাড়ির পেছনের চিংড়ির ঘের থেকে তিন শিশুর উদ্ধার করা হয়। সকাল ১০টার দিকে চকরিয়ার বদরখালীর ভেরুয়াখালী এলাকা থেকে অপর শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত শিশুরা হলো উজানটিয়া ইউনিয়নের ফেরাসিঙ্গা পাড়া এলাকার নুরুল আলমের মেয়ে তাহিদা বেগম (১০), তার ভাই আমির হোসাইন (৫), একই এলাকার ছাবের আহমদের মেয়ে হুমাইরা বেগম (৮) এবং চকরিয়ার বদরখালী এলাকার এমরান হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ জিহান (১০)।

নিহত হুমাইরার মা জাহেরা বেগম জানান, বুধবার বিকেলের দিকে মাছ ধরার বাহনা করে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল হুমাইরা। এরপর থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। পরে খবর পান আমির হোসাইন ও তাহিদা বেগমও নিখোঁজ।

নিহত আমির হোসাইন ও তাহিদা বেগমের মা রহিমা বেগম বলেন, বুধবার ফুপাতো বোন হুমায়রাসহ পাশের চিংড়ি ঘেরে মাছ ধরতে যায় তার দুই সন্তান। এরপর আর ফিরে আসেনি তারা। বৃহস্পতিবার ভোরে হুমায়রার মরদেহ পানিতে ভাসতে দেখেন। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে একই স্থানে তিনজনের মরদেহ পাওয়া যায়।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার শরীয়ত উল্লাহ জানান, বুধবার বিকেলে বাড়ির পাশের চিংড়ি ঘেরে মাছ ধরতে গিয়ে তিন শিশু নিঁখোজ ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করেও তাদের পাওয়া যায়নি। পরে ভোর ৫টার দিকে তাদের মরদেহ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়।

তিন শিশুর মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে উজানটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল করিম বলেন, জানাজা শেষে তাদের দাফন করা হয়েছে।

অন্যদিকে, চকরিয়ায় নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর মোহাম্মদ জিহান নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ভেরুয়াখালী এলাকার বন্যার পানি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। জিহান ওই এলাকার মো. এমরান হোসেনের ছেলে। বুধবার সকালে জিহান বাসা বেরিয়ে নিখোঁজ হয়।

বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে হোছাইন আরিফ বলেন, সকালে ভেরুয়াখালীর একটি ছোট খালে জিহানের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকায় জিহানের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Scroll to Top